দুই থানার ওসিসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির পৃথক দুটি মামলা হয়েছে রাজধানীর । ভুক্তভোগী দুই নারী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ঢাকার আদালতে মামলা দুটি করেছেন। মামলা দুটির একটিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও অন্যটিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার পৃথক পৃথক সময় মামলা দুটি দায়ের হয়। এর একটিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম, এসআই ওসমান আলীকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- মো. সোহেল, মিরাজ আলী ও জিহাদ নামের আরও তিনজন। ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে করা মামলাটি বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার শুনানি শেষে অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক শামসুন্নাহারের আদালতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ওসিসহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্ত করতে পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. শামীম হোসেন, এসআই আব্দুল কাদির, আরিফ হোসেন, আব্দুর রউফ; এএসআই নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, জয়েন উদ্দিন, রুনা আক্তার, ইয়াসমিন আক্তার ও তৌফিক। এই মামলাটির বাদী ভুক্তভোগী নারীর সৎ-মা মার্জিয়া আক্তার।

যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় অভিযোগ, মামলার বাদী আসামি সোহেল ও জিহাদের বাসার ভাড়াটিয়া। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাদিনীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে আসামি সোহেল, মিরাজ আলী ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় এবং ব্যর্থ হয়ে মারধর করে এবং বাচ্চাসহ রুমে আটক করে রাখে। পরে তার স্বামী এলে তাকে অপহরণ করে আটকে রাখেন এবং তার কাছে স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।

এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী যাত্রাবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে আসামি এসআই ওসমান আসামি সোহেল, মিরাজ আলী ও জিহাদের কাছ থেকে বাচ্চাদের উদ্ধার করেন। এরপর থানা পুলিশ আসামিরা মামলা না নিয়ে আসামিদের সঙ্গে আপস করতে বলেন এবং মামলা দিতে হলে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

অন্যদিকে দক্ষিণখান থানার পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদীর সঙ্গে তার সৎ-মা মার্জিয়া আক্তারের ছেলে ইকবাল হোসেনের (সজল) জমি-জমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। সম্প্রতি আদালত মার্জিয়া আক্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এরপর মার্জিয়া মামলার বাদী ও তার পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য ফ্ল্যাটে ছুটে যান। ২ মার্চ সন্ধ্যায় ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন মার্জিয়ার পক্ষ নিয়ে বাদীর বাসার দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন। তিনি বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদীকে যৌন হয়রানি করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এসআই আবদুল কাদির বাদীকে নির্যাতন করেন। ওসি সেখানে উপস্থিত এক সাক্ষীকেও শ্লীলতাহানি করেন। বাদী ও সাক্ষীকে তখনই বের হয়ে যেতে বলেন ওসি। বের না হলে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের হুমকি দেন।

Share Now
January 2026
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031