যখন বিদ্রোহী হয়ে ওঠে তখন তো অসম্ভব প্রায়। সব বাবা-মায়েরই সন্তানকে কথা শোনানোর ভীষণ বিপাকে পড়তেই হয়।তবে শিশুরা সরল। তাই প্রকৃতিকে সহজভাবেই দেখে। তাই তাদের স্বভাবগত প্রকৃতির দিকে একটু খেয়াল রাখলেই কথা শুনবে শিশু।

ছোট ছোট বাক্যে বলুন

শিশুদের বড়দের মতো এত ধৈর্য নেই। তাই মূল বক্তব্য ছোট ছোট বাক্যে উপস্থাপন করুন। দীর্ঘ বক্তব্যে মূল কথাগুলো হারিয়ে যেতে পারে। হলে অকারণেই বিভ্রান্ত হবে তারা।তাই নিশ্চিত হয়ে নিন যে সংক্ষিপ্ত কিন্তু সরল ভাষায় কথা বলছেন।

মনোযোগী হলেই কথা শুরু করুন

হঠাৎ করেই কথা বলতে শুরু না করে আগে মনোযোগী করে নিন। পুরোপুরি মনোযোগ না দেয়া পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। যখন আপনার কথা শুনছে এটা বুঝতে পারবেন তখন কথা বলা শুরু করুন।

আলতো সুরে বলুন

কখনোই পাশের রুম থেকে চেঁচিয়ে কোন কিছু নির্দেশ করবেন না। কাছে গিয়ে দেখুন সে কী করছে। তারপর আলতো সুরে কথা শুরু করুন। সন্তান লালন পালনে বিরক্তি ও আসতে পারে তবে কখনোই মেজাজ হারাবেন না। কারণ আপনার খারাপ মেজাজে সন্তান মানসিক ভাবে প্রভাব পড়বে। তাই কথাগুলো শ্রুতিমধুর যেন হয়। আর কথা শেষে অবশ্যই ধন্যবাদ জানিয়ে দিবেন।

যথাসম্ভব নিষেধ না করা

সারাদিনই এটা করো না ওটা করো না এরকম নিষেধ দেয়া ঠিক না। তাহলে নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আগ্রহ আরো বেড়ে যায় আর তখনই অবাধ্য হয়ে পড়ে শিশু। এজন্য একটু মজা করে বুঝিয়ে বলুন।

খেলায় খেলায় কথা শোনানো

শিশুরা খেলার সময় সবচেয়ে বেশি আনন্দে থাকে। তাই খেলার সঙ্গী হয়ে গেলে সহজেই কথা শোনানো যাবে। এজন্য গলার স্বরটা একটু ভিন্ন করে নিন। তারপর কো নো একটা পুতুল কিংবা খেলার জিনিস নিয়ে গলার স্বরটা পাল্টে পাল্টে কথা বলতে থাকলেই হেসে উঠবে। আর এই খেলার ফাঁকি ফাঁকি বলে ফেলতে পারেন প্রয়োজনীয় কথাগুলো।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031