নোয়াখালীর চরজব্বার থানা কোয়ার্টার থেকে শিপ্রা রানী দাস নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর দুটার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিপ্রা রানী দাস কুমিল্লার দেবীদ্বারের পঞ্চনগর এলাকার অনিল দাসের মেয়ে। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে শিপ্রা ছোট ছিল।

চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, থানা কোয়ার্টারের ওই কক্ষে শিপ্রা রানীসহ পাঁচজন নারী পুলিশ থাকত। তাদের মধ্যে একজন ছুটিতে আছেন। দুপুরে অন্য তিনজন খাওয়া আনতে কক্ষের বাহিরে গেলে শিপ্রা ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ফিরে এসে অন্য নারী সদস্যরা দরজা বন্ধ দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে বিরোধের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।

নিহত শিপ্রা রানীর মা সরনা রানী দাস বলেন, শিপ্রার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যায়। ২০১৪ সালে শিপ্রা পুলিশে যোগদান করে। দেবীদ্বার এলাকার রাজিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্রধরে ২০১৭ সালের ১০ জুলাই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রাজিবকে নগদ এক লাখ টাকা, চার ভরি স্বর্ণ ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়। রাজিব বর্তমানে চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন।

সরনা রানী অভিযোগ করে বলেন, রাজিব মাদকাসক্ত ছিল। সে পুলিশে চাকরি করলেও বিভিন্ন সময় টাকার জন্য শিপ্রাকে মারধর করত। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের সংসার চালান। তাই তার পক্ষে রাজিবকে টাকা দেওয়া সম্ভব হতো না। শিপ্রা চরজব্বার থানায় বদলি হওয়ার পর রাজিবের ভয়ে গত চার মাস ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না বলে জানান তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031