একজন নার্সকে ফাইজার-বায়োএনটেক আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়ার পরপরই তিনি অচেতন হয়ে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টিনেসিতে । এর কিছুক্ষণ পরেই আবার তিনি সুস্থ হয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে বলেছেন, টিকার সঙ্গে তার এই অসুস্থতার কোনো সম্পর্ক নেই। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজউইক। এতে বলা হয়, টিনেসির ছাত্তনুগায় অবস্থিত সিএইচআই মেমোরিয়াল হাসপাতালের নার্স টিফফানি ডোভারকে ওই টিকা দেয়া হয়েছিল। এর প্রায় ১৫ মিনিট পরে তার ঝিম ঝিম অনুভূতি হতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি পড়ে যাচ্ছিলেন।
তখন পাশে থাকা একজন ডাক্তার তাকে ধরে ফেলেন। তবে দ্রুততার সঙ্গে তিনি সুস্থ হয়েছেন এবং দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছেন। এরপর হাসপাতালে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। ডব্লিউটিভিসি নিউজ চ্যানেল ৯’কে উদ্ধৃত করে রিপোর্টে আরো বলা হয়, নার্স ডোভার বলেছেন- আকস্মিকভাবে আমার ভিতর কেমন যেন অনুভূতি হলো। আমি বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা হতে যাচ্ছে। কিছুটা দিশেহারা মনে হয়েছিল। তবে এখন ভাল আছি। আমার বাহুতে যে ব্যথা ছিল তাও এখন আর নেই। ওদিকে সিএইচআই মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, নার্স ডোভার যে সমস্যার আক্রান্ত হয়েছেন তার সঙ্গে ফাইজারের টিকার কোনো উপাদানের সম্পর্ক নেই। এই টিকাটি কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন দিয়েছে।
নার্স ডোভার বলেছেন, তিনি যখন ব্যথা বোধ করেন তখন তিনি মাঝে মাঝে অচেতন হয়ে পড়েন। তাই তিনি টিকা নেয়ার পরে অচেতন হওয়াকে বিস্ময়ের কিছু বলে দেখছেন না। তার ভাষায়- আমার একরকম স্নায়ু সংক্রাস্ত অতিমাত্রায় সংবেদনশীলতা আছে। কখনো ব্যথা পেলেই তা তীব্র হয়ে ওঠে। এটা এমন এক বিষয় যাতে শরীরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই স্নায়ু ব্রেন থেকে শুরু করে মুখমণ্ডল, থোরাক্স এবং পেট পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্যথা সহ বিভিন্ন রকম বিষয়ে এই স্নায়ু সংবেদনশীল হতে পারে। যখনই এমনটা হয় তখনই একজন মানুষের মধ্যে ঝিম ধরা ভাব আসতে পারে। তিনি অচেতন হতে পারেন। ফলে নার্স ডোভালের ঘটনার সঙ্গে ফাইজারের টিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মনে করেন সিএইচআই মেমোরিয়ালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের মেডিকেল পরিচালক ডা. জেসে টাকার।
