ঢাকা :  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরাই নিজেদের পতন ঘটাবে’ বলে মন্তব্য করেছেন। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে মান্নান মুক্তি পরিষদ।

সমাবেশে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘তাদের (সরকার) মধ্যেই এখন অনেক অপকর্ম চলছে। অন্যায়, অত্যাচার ও মিথ্যাচার করে এ সরকার বেশিদিন ঠিকে থাকতে পারবে না। ইতোমধ্যে সরকারের একজন এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। আর এ কথা তিনি বিশ্বাস করেন বলেই বলেছেন।’

সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়। এরা ফ্যাসিবাদী সরকার। তারা গণতন্ত্রকে সম্মান করতে জানে না। গণতন্ত্রহীন, বাকশালী দেশে দাবি আদায় করে নিতে হবে। না হলে কোনো কিছুই আদায় করা যাবে না। আইনের কথা, যুক্তির কথা বলে লাভ হবে না।’

স্থায়ী কমিটির এই সিনিয়র সদস্য বলেন, ‘আজকে দেশে জঙ্গিবাদ উত্থানের প্রধান কারণ গণতন্ত্রহীনতা। অথচ সরকার জঙ্গি দমন না করে বিভিন্ন কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আপনারা হতাশ হবেন না। বাকশাল সরকারের পতন হবে।’

সিটি মেয়র মান্নান সম্পর্কে মোশাররফ বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছায় মান্নানকে বারবার কারাগারে আটক করা হচ্ছে। তার মতো জনপ্রতিনিধিকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার অপরাধ তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত। তাই সরকার পরিকল্পিতভাবে একের পর এক মামলা দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে। এটা মানসিক বিপর্যয়। এভাবে তাকে কষ্ট দেওয়া হয়।’

সরকার নির্বাচিত মেয়রদের তাদের সিটে বসতে দিবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচিত মেয়রদের কাজ করতে দিবে না। যেহেতু তারা (সরকার) নির্বাচিত নয় তাই নির্বাচিত লোকেরা সিটি চালাবে এটা সরকারের সহ্য হয় না। এজন্য মেয়র মান্নানসহ সারা দেশের সিটি মেয়রদের সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখে তাদের বরখাস্ত করে দিয়েছে।’

গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির সহ শ্রমিক সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসরাম বাচ্চুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031