বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সংসদে একটি নিরপেক্ষ সরকারের বিল আনতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকারের কোন বিধান নেই। তাই আপনার (প্রধানমন্ত্রী) শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আপনারা সংসদে আছেন। সংসদে আওয়ামী লীগের দুই-তৃতীয়াংশ আসন রয়েছে। সুতরাং সংসদে একটি নিরপেক্ষ সরকারের বিল নিয়ে আসুন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী নূরুল হুদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে নূরুল হুদা স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের সিনিয়র নেতাদের একাদশ নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচনের বাইরে রেখে, আবারও আওয়ামী লীগ ভোটারবিহীন একটি প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু ৫ই জানুয়ারির মত ঘটনার পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে আর হবে না। বিএনপি ও খালেদা জিয়া ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। ড. মোশাররফ বলেন, সরকারকে আমি বলতে চাই- বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেয়ার যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন। আমরা এত দিন খালেদা জিয়ার মামলাসহ সকল নেতার বিরুদ্ধে মামলাগুলো আইনীভাবে মোকাবেলা করেছি। তবে যদি মিথ্যা, বানোয়াট ও পাতানো কোন ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে তা আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। ট্রাস্ট মামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে তিনি বলেন, এরপরও আপনারা দেখছেন প্রতি সপ্তাহে তাকে আদালতে গিয়ে বসে থাকতে হয়। মানসিকভাবে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। এর একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, ৫ই জানুয়ারির মত জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ভোট ছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছে। সুশীল সমাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবীণ এ নেতা বলেন, সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের গাধা বললে, জনগণকে গাধা বলা বাকি থাকলো কি? জনগণ এটা সহ্য করবে না। জনগণ আপনাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত। সময় হলে জনগণ সেটা দেবে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। আর এর জন্য যে আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক আসবে, সে ডাকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাড়া দিতে হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মো. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য দেন।
