কমপক্ষে ৬ জনকে কানাডার একটি মসজিদে অস্ত্রধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে । এতে আহত হয়েছেন অনেকে। একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করছে কানাডার পুলিশ। এ ঘটনা ঘটেছে কানাডার সেইন্টে-ফয় এলাকার কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে। রোববার সেখানে প্রায় ৫০ জন মুসল্লি মাগরিবের নামাজ আদায় করার সময় তিন অস্ত্রধারী প্রবেশ করে গুলি চালানো শুরু করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাস্থল থেকে এক সন্দেহভাজন ও একটু দূরেই আরেক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, আর কোনো ব্যক্তি এতে জড়িত নয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি ও মিরর।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রার্থনা ও আশ্রয়ের স্থানে মুসলিমদের ওপর চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই আমরা। তিনি আরো বলেন, মুসলিম-কানাডিয়ানরা আমাদের জাতির বুননের অংশ। এ ধরনের অর্থহীন কাণ্ডের কোনো স্থান আমাদের সমাজে নেই। কুইবেক অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফিলিপ কুইলার্ডও একে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদের মেঝে ভেসে যায় মুসল্লিদের রক্তে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বেশ কিছু এম্বুলেন্স ও সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ নিশ্চিত করে বলেছে যে, সন্দেহজনকভাবে দু’ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আটক করা দুজনের মধ্যে একজনের কাছে পাওয়া গেছে একে-৪৭ রাইফেল। তাদের একজনের বয়স ২৭ বছর। রেডিও কানাডা বলেছে, আটক দু’ব্যক্তিরই কুইবেক ঘরানার নাম রয়েছে।
ওই মসজিদের সভাপতি মোহামেদ ইয়াঙ্গুই বলেছেন, এখানে কেন এসব ঘটছে? এ ঘটনা বর্বরোচিত। হামলার সময় মসজিদের ভেতরে উপস্থিত ছিলেন না ইয়াঙ্গুই। কুইবেকের মুখ্যমন্ত্রী ফিলিপ কোলার্ড টুইটে বলেছেন, কুইবেক এই বর্বরোচিত সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে ২০১৩ সালে সাগুয়েন অঞ্চলে একটি মসজিদে রক্ত ছিটিয়ে রাখার ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ। ধারণা করা হয়, ওই মসজিদটিতে শূকরের রক্ত ছিটিয়ে রাখা হয়েছিল। এছাড়া পার্শ্ববর্তী প্রদেশ অন্টারিওতে ২০১৫ সালে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল প্যারিসে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরে। এর আগে গত জুনে এ মসজিদে শুয়োরের মাংস রেখে আসা হয়, যা ইসলামে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031