নোয়াখালীতে জোড়া খুনের ঘটনায় মোর্শেদ আলম (৩৭) ও রুবেল (২৯) নামে দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা তারিক আহমদ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুজনের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়। এসময় আসামি রুবেল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট এটিএম মহিব উল্যাহ্।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মোর্শেদ আলম লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার মুক্তারামপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। সে নিহত রুমা আক্তারের স্বামী।অপর দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল একই গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে। তিনি মোর্শেদ আলমের বন্ধু।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট নোয়াখালীর গুডহিল হাসপাতালের (প্রাইভেট) একটি কেবিনে স্ত্রী রুমা আক্তার ও তিন বছরের সন্তান আপনকে হত্যা করে মোর্শেদ আলম। এসময় তাকে সহযোগিতা করে তার বন্ধু রুবেল। দুজনকে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়। এঘনায় ওই দিন হাসপাতালের মালিক ডা. আবদুল হাই সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করলেও মোর্শেদ পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। তবে গ্রেফতারের পর থেকে জেলহাজতে ছিল অপর আসামি রুবেল।
সূত্র আরও জানায়, পুলিশ তদন্ত শেষে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোর্শেদ ও রুবেলর সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করে একই বছরের অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালত আসামি, পুলিশ ও সাক্ষীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন সরকারি কৌঁসুলী এটিএম মহিব উল্যাহ্ এবং আসামিপক্ষে অংশ নেন বেলায়েত হোসেন জসিম।
