বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ন্যায় বিচার পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুও বিলীন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচার বিভাগের ওপর ক্ষমতাসীনদের হস্তক্ষেপে মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার শেষ ভরসাটুকুকুও বিলীন হয়ে গেছে। মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, সমাবেশ ও চলাচলের স্বাধীনতা, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতাকে বেঁধে ফেলা হয়েছে পুলিশী শিকলে।
মির্জা আলমগীর বলেন, বিরোধী দলের জাতীয় রাজনীতিকদের সম্মান ক্ষুন্ন করে তাদেরকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী ও হেনস্তা এবং সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করা কোন সুস্থ রাজনীতির পরিচয় নয়। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনায় এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, সরকার কোনভাবেই বিরোধী মতকে সহ্য করছে না।
তারা গণতন্ত্রের সকল ক্ষেত্রকে সংকুচিত করতে করতে এখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে দ্রুততার সঙ্গে পা ফেলছেন।
তিনি বলেন, দমন-নিপীড়ণ, হামলা মামলার পথ অনুসরণ করে সরকার যেভাবে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে সাধারণ মানুষকে বন্দী করেছে তা তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করারই অভিসন্ধি। রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল দিক থেকে বৈধতা হারিয়ে ক্ষমতাসীনরা আরো বেশী বেপরোয়া ও দুর্বিনীত কর্মকা-ে মেতে উঠেছে। আক্রোশমূলক ও হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে তাদের আচরণ। বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে পরমুখাপেক্ষী হয়ে থাকার নীতি অবলম্বন করতে গিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দাপট আর দখলে সর্বত্র অসহায় মানুষ সর্বস্ব খুইয়ে আর্তনাদ করছে। সোচ্চার প্রতিবাদের ভাষাকে স্তব্ধ করতেই ধারাবাহিকভাবে চলছে জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর আক্রমণ। সেই আক্রমণের অংশ হিসেবেই বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
তিনি অবিলম্বে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান। দলের কেন্দ্রীয় সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণকে ভয় পাইয়ে দিতেই বর্তমান সরকার গুম, খুন, অপহরণের পাশাপাশি মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে। স্বজন হারাবার ভয় ও জীবন-আশঙ্কায় মানুষের জীবনে নেমে এসেছে নৈরাজ্যের ঘন অন্ধকার। সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার শক্তিকে স্তব্ধ করে দিতে চায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। আমি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
