পুলিশ সাটুরিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও ছেলেকে খুনের রহস্য উম্মোচন করেছে । পরকীয়ার জেরেই মা ও ছেলেকে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের ভাষ্য। তারা বলছে, ভাবী পারভীনের সঙ্গে দেবর সোলাইমানের পরকীয় ছিল। পারভীন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সোলাইমান এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ৯-এর  বিচারক জান্নাতুল রাফিন সুলতানার কাছে মামলার একমাত্র আসামি সোলাইমান হোসেন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামীকে রাতেই আদালত থেকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

জবানবন্দিতে সোলাইমান বলেছেন, ভাতিজা আব্দুল নুর হোসেনকে গলায় ও পেটে ৮ স্থানে ছুরি  দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। এরপর ভাবি পারভীনকে গলা কেটে হত্যা করে তার লাশ উলঙ্গ করে ঢেকে রাখেন কম্বল দিয়ে। তিনি লাশ উলঙ্গ করে বোঝাতে চেয়েছেন তার ভাবীকে কেউ ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে।

সোলাইমান পুলিশকে জানায়, ভাবী পারভীনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল তার। ভাইয়ের সংসার ছেড়ে ভাবীকে তার সঙ্গে সংসার করতে বলেন সোলাইমান। কিন্তু পারভীন রাজি হননি।  তাই প্রতিশোধ নিতে ভাতিজা ও ভাবীকে হত্যা করেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত আবুল কালাম জানান, ভাবীর সঙ্গে দেবরের ৫/৬ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মা-বাবা সোলাইমানকে অন্যত্র বিয়ে করতে বললেও তিনি করবে না বলে জানায়। ওইদিন রাতে তিনি ভাবীর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু পারভীন রাজী না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে দু’জনকে খুন করে।

এদিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশ জোড়া খুনের আলামত সংগ্রহ করেছে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে মা ও ছেলেকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031