আগামী ৮ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতসমূহ ভার্চুয়ালি বিচারকার্য পরিচালনার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। তবে এ সময়ে সাকসেশন ও অভিভাবকত্বের মামলা শারীরিক উপস্থিতিতে করা যাবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
শনিবার (৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আগামী ৮ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত দেশের অধস্তন আদালতসমূহ ভার্চুয়ালি বিচারকার্য পরিচালনার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে এ সময়ে সাকসেশন ও অভিভাবকত্বের মামলা শারীরিক উপস্থিতিতে করা যাবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
শনিবার (৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহ “আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০” এবং এই কোর্ট কর্তৃক জারিকৃত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণপূর্বক সব ধরনের দেওয়ানি ও ফৌজদারি দরখাস্ত, আপিল, রিভিশন বা বিবিধ মামলাসহ সব ধরনের শুনানি গ্রহণ (সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতীত) ও নিষ্পত্তি করবেন।’
‘উক্ত সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে মামলা দায়ের করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণ বিষয়ক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে’—বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি/ব্যক্তিগণ অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ আবেদন দাখিল করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনোরূপ জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনও আইনজীবী এজলাস কক্ষে অবস্থান করবেন না। একটি আত্মসমর্পণের শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী এজলাস কক্ষ ত্যাগ করার পর বিচারক/ম্যাজিস্ট্রেট পরবর্তী আত্মসমর্পণের দরখাস্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করবেন।’
এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্যান্য কার্যক্রমে হাজতি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালত কক্ষে হাজির না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। হাজতি আসামির রিমান্ড শুনানির ক্ষেত্রে কারাগারে ভিডিও কনফারেন্সের লিংক প্রেরণ করে শুনানি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে কারাগার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ভার্চুয়ালি দেখে রিমান্ড শুনানি করতে পারবেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিবি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
