টেস্টে নাটকীয়তা দেখা যায় না তা নয়। কিন্তু তা খুব নিযমিত নয়। আর রোববার ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে যা ঘটলো তা টেস্ট ইতিহাসে খুবই বিরল। পাস্তিানের জেতার সম্ভানা ছিল ভালভাবেই। কিন্তু শেস যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেজের দিকে তিন ব্যাটসম্যান তাতে পাকিস্তানের জয় অসম্ভব দেখাচ্ছিল। কিন্তু রহস্যময় ক্রিকেটে যে সবই অনিশ্চয়তায় ভরা। ৯. ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ৯৯ বল ঠেকিয়েও হার মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৬ বল আগে। ওই ৬টি বল মোকাবিলা করার কথা ছিল ১০১ রানে অপরাজিত থাকা চেজের। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে ম্যাচসেরা হয়েও হাসি ফুটলো না তার। । আর এতে তাদের সিরিজটিও জেতা হলো ২-১এ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এটাই পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। সবচেয়ে বড় আনন্দের উপলক্ষ্যটা ছিল পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তিসম ব্যাটসম্যান ইউনুস খান ও মিসবাহ উল হকের ঐতিহাসিক বিদায়। বিশ্ব ক্রিকেটর এই দুই জেষ্ঠ খেলোয়াড় এরচেয়ে আর ভালভাবেজ বিদায় নিতে পারতেন না। সিরিজ শুরুর আগেই তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন এটিই হবে তাদের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট সিরিজ। দিনের শেষ ওভারের আগের ওভারের শেষ বলে লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহের অফ স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে বোল্ড হন গ্যাব্রিয়েল শ্যানন। ২২ বলে ৪ রান করেছিলেন তিনি। ইয়াসির শাহ নেন ৫ উইকেট। হন সিরিজ সেরাও। পাকিন্তানের ৩৭৬ রানের জবাবে ২৪৭ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপরে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস ১৭৪ রানে ৮ উইকেট পড়লে সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছিল। এতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট দাঁড়ায় ৩০৪ রান। কিন্তু ২০২ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। সিরিজের প্রথম টেস্ট পাকিস্তান আর দ্বিতীয়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
