বর্তমানে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগী ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ শতাধিক রোগী এসব রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগ ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম এনেছে। আজ বুধবার (০২ মে) টিমটি হালিশহর এলাকা পরিদর্শন করে ২৫ জন রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেসময় ওই এলাকায় ব্যবহৃত পানির নমুনা সংগ্রহ করে তারা ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে হালিশহর এলাকার বাসিন্দারা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমানে সেটি চারিদিক ছড়িয়ে পড়েছে। তাই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

সাদমান নামের এক বাসিন্দা বলেন, আমার বোন টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের বাসার দারোয়ানের মেয়েও একই রোগে আক্রান্ত। আশপাশে মানুষেরা সবাই আতংকে আছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাইফয়েড, জন্ডিস, ডায়রিয়া পানি ও খাদ্যবাহিত রোগ। জীবানু মিশ্রিত খাবার ও পানি পানের কারণে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিশুদ্ধ পানি পান থেকে বিরত ও খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ করলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, কয়েক মাস ধরে হালিশহর এলাকার বাসিন্দারা এ ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি এটি ছড়িয়ে পড়েছে।

‘আমরা খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় রোগতত্ত্ব-রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করি। সেখান থেকে পাঁচ সদস্যের একটি দল চট্টগ্রামে এসেছে। তারা আক্রান্তদের রক্ত সংগ্রহ করেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে রোগের কারণ জানা যাবে।

‘এর মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি পান ও খাওয়ার জন্য বলেছি। বাহিরের খাবার খেতে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে গর্ভবতী নারীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

সিভিল সার্জন বলেন, ‘ওয়াসা ও নলকুপের পানি ব্যবহারকারীরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই পানির সমস্যার কারণে এ ধরণের রোগ হচ্ছে বলে ধারণা করছি।‘

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ হালিশহর এলাকার পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। কিন্তু তারা কোনো জীবাণু পায়নি বলে জানিয়েছে। তবে রিজার্ভ টাংগীর পানি থেকে জীবাণু হতে পারে বলে তারা জানিয়েছে। তাই বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড ও ওভারহেড টাংগীগুলো পরিস্কার ও পানি ফুটিয়ে খাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031