পিয়াজের কেজি কয়েক দফা বৃদ্ধির পর কমতে কমতে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় নেমে আসে । সম্প্রতি আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে পিয়াজের বাজার। ক্রেতাদের অভিযোগ, আসন্ন রমজান ও করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা পিয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কয়েক দফা বেড়েছে পিয়াজের দাম। এতে পিয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে পিয়াজের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনিতেই নগর জুড়ে রয়েছে করোনা আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মধ্যেই অনেকে রোজার কেনাকাটা শুরু করেছেন।

ফলে পিয়াজের চাহিদা বেড়ে গেছে। আর এই ফাঁকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজানে পিয়াজের চাহিদা বাড়লে দাম আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা। তার আগের সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। এ হিসাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে পিয়াজের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

কাওরান বাজারের পিয়াজ বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, করোনার শুরুতেই পিয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা ছিলো। কিন্তু সরকারে মনিটরিংয়ের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে ছিলো। বাজারে এখন তেমন অভিযান দেখা যাচ্ছে না, তাই দাম বাড়তে শুরু করেছে। তা ছাড়া রমজান এলে প্রতিবছরই পিয়াজের দাম বেড়ে যায়। আর এবার করোনা আতঙ্ক এবং আসন্ন রমজান দুই কারণেই পিয়াজের দাম বেড়েছে। তবে লকডাউন পরিস্থিতিতে পিয়াজের সরবারাহেরও ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তার মতে, সরবরাহ বাড়ালে এবং সরকারের মনিটরিং জোরদার করলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তা না হলে দাম আরো বাড়তে পারে।

তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটির উপপরিচালক মাসুম আরেফিন মানবজমিনকে বলেন, ব্যবসায়ীরা সরবারাহ ঘাটতির কারণ দেখিয়ে পিয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কাওরান বাজার ও শ্যামবাজারসহ সারা দেশে পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করছি। যারা দাম বাড়াচ্ছেন তাদের জরিমানা করছি এবং তাদের সতর্ক করছি। তিনি বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেজন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল হয়েছে। ছুটির মধ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম বলে দাম বাড়িয়েছেন। তাই আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। রমজান এলে পিয়াজের চহিদা আরো বেড়ে যাবে, তখন দাম আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031