রুশ প্রেসিডেন্ট নিজেই জানালেন । বয়স ৬৬। তাতে কী? খুব শিগগির আবার বিয়ে করতে পারেন ভøাদিমির পুতিন। প্রতি বছরের শেষে দেশের রুশ প্রেসিডেন্টসব সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। বৃহস্পতিবারও তেমনই বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে উঠে আসে তার ব্যক্তিগত জীবনও। বিবাহ বিচ্ছিন্ন পুতিন দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবছেন কিনা জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে পুতিন বলেন, ‘ভদ্র-সভ্য মানুষ আমি। কখনও না কখনও বিয়ে তো করতেই হবে।’
‘ভদ্র-সভ্য’ মানুষ হওয়ার সঙ্গে বিয়ের কী সম্পর্ক তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। তবে রাশিয়ার নিয়ম-কানুন কিছুটা আলাদা। সেখানকার সমাজ এখনও রক্ষণশীল। সমকামিতা আজও নিষিদ্ধ সে দেশে। শিশুদের সামনে সেই সংক্রান্ত আলোচনাও বে আইনি। বরং তারা চিরন্তন মূল্যবোধে বিশ্বাসী, যেখানে বিয়ে করে সংসারী হওয়াটাই রীতি। এমনকি চিরন্তন সামাজিক রীতিনীতিগুলিকে যাতে সুরক্ষিত অধিকারের আওতায় আনা যায়, সে জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনেও সুপারিশ করতে দেখা গেছে রাশিয়াকে।
ভ্লাদিমির পুতিন নিজেও এই মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই গোপনীয়তা বজায় রেখে এসেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ল্যুদমিলা পুতিনাকে বিয়ে করেন পুতিন। তাদের দুই কন্যা রয়েছে, মারিয়া পুতিনা এবং ইয়েক্যাতরিনা পুতিনা। তবে প্রথম থেকেই প্রচারের আলো থেকে দূরে তারা। রাজনীতির সঙ্গে কোনও যোগ নেই। ২০১৪ সালে পুতিনের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে ক্রেমলিন। তবে বিয়ে ভাঙার কারণ আজও জানা যায়নি।
ল্যুদমিলার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আলিনা কাবায়েভা নামের অলিম্পিক্স ফেরত এক জিমন্যাস্টের সঙ্গে নাম জড়ায় পুতিনের। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তা নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়। ২০১৬ সালে আলিনার বোন ও দাদির নামে সম্পত্তি হস্তান্তরের কথা সামনে আনে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তবে শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে এসেছেন পুতিন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই বরাবরই তা এড়িয়ে যান তিনি। তবে এতদিন পর হঠাৎ বিয়ে করবেন বলায় নতুন করে কৌতূহল শুরু হয়েছে।
