ঝালকাঠি : রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এ ধর্মঘট শুরু করেন তারা। এতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষসহ আশপাশের এলাকা থেকে মালামাল বেচাকেনা করতে আসা ব্যবসায়ীরা।পণ্য ওঠা-নামায় মোটা অংকের অর্থ দাবি ও তুচ্ছ ঘটনায়  পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছেন ঝালকাঠি জেলার সর্ববৃহৎ হাট রাজাপুরের বাঘরিহাটের ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ট্রাকযোগে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আনার পর মহাসড়ক সংলগ্ন রাজাপুর বাঘরি হাটের পণ্য ওঠা-নামা করানো হয়। এজন্য রাজাপুর থানার ওসি মুনীর উল গিয়াসের নির্দেশে পুলিশ বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে আসছে। দাবিকৃত চাঁদা না দিলেই ট্রাক চালক-শ্রমিকদের নানা অজুহাতে মারধর-আটক ও হয়রানি করছে।

বাঘরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির সিকদার বলেন, বাধ্য হয়েই আমরা এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। সড়কের পাশে মালামাল ওঠা-নামার অজুহাতে থানা পুলিশ দফায় দফায় চাঁদাবাজি করে আসছে। আর না দিতে পারলেই অনর্থক আমাদের হয়রানি করে। অনেক সময় ট্রাক চালক-শ্রমিক ও বাজারে পণ্য ওঠানামা করা শ্রমিকদের মারধরসহ আটক করে রাখে পুলিশ।

তিনি বলেন, আমরা যুগ যুগ ধরে রাতের বেলা সড়কের পাশে ট্রাক থামিয়ে মালামাল ওঠানামা করে আসছি। অথচ বিকল্প ব্যবস্থা না করে ওসি মুনীর উল গিয়াস একতরফা নির্দেশ দিয়ে ধরপাকড় চালাচ্ছে। আর যানজটের অযুহাত তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভুল বুঝাচ্ছে।

রাজাপুর থানার পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) মুনীর উল গিয়াস  বলেন, বাঘরিহাটে পণ্য ওঠা-নামারা জন্য মহাসড়কে দীর্ঘ সময় ট্রাক থামিয়ে রাখায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় ও নিরাপত্তারও বিঘœ ঘটে। তাই মহাসড়কে ট্রাক থামাতে নিষেধ করা হয়েছে। এ কারণেই মিথ্যা অভিযোগ তুলে এ সব কর্মসূচি করা হয়েছে।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমান বলেন, কাউকে হয়রানি করতে নয়, বাগরি হাটের পণ্য মহাসড়ক ট্রাক থামিয়ে না করে অন্যত্র নামাতে বলা হয়েছে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031