হঠাৎ নজরে পড়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার। এক বান্ডেল টাকা রাস্তায় পড়েছিল। সেখানে তিনি ছিলেন একাই। চাইলে নিজের পকেটেও পুরতে পারতেন। কিন্তু পরের টাকায় লোভ নেই জানিয়ে থানায় সে টাকা জমা করেছন। করা হয়েছে সাধারণ ডায়েরিও।

এই পুলিশ কর্মকর্তার নাম সমরেশ মণ্ডল। তিনি ঢাকা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট হিসেবে কাজ করেন। টাকা পাওয়ার পর পর তিনি বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী করা যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ করেন। এবং পরামর্শ অনুযায়ীই কাজ করেন তিনি।

সমরেশ জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মেরুল বাড্ডা মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনের সময় টাকাগুলো কুড়িয়ে পান তিনি। তবে সব মিলিয়ে কত টাকা, সেটা তিনি বলছেন না এই টাকা মূল মালিককে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। যিনি টাকা নিতে আসবেন তিনি যেন টাকার অংকটা বলতে পারেন, সে জন্যই এই কৌশল তার।

ঢাকাটাইমসকে সার্জেন্ট সমরেশ বলেন, ‘সকালে ডিউটিরত অবস্থায় ওই টাকার বান্ডেল পাওয়ার পর সেগুলো নিয়ে প্রথমে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ট্রাফিক জোনের এসি রোমানা নাসরিনের কাছে যেই। পরে বেলা ১২টার দিকে স্যারের নির্দেশে সেই টাকা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান স্যারের কাছে দিয়ে আসি।’

কত টাকা ছিল, সেটা না বললেও এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই বান্ডেলে এক হাজার টাকা ও পাঁচশ টাকার নোট ছিল। তবে প্রকৃত মালিকের তথ্য যাচাইয়ের স্বার্থে টাকার পরিমাণ বলব না। তবে সেটার পরিমাণ ৫০ হাজারের বেশি এবং এক লক্ষের কম।

এই টাকাটা তো নিয়ে যেতে পারতেন-এমন মন্তব্যের জবাবে সমরেশ বলেন, ‘না ভাই, পরের টাকার ওপর লোভ নেই। নিজে যা আয় করি তা দিয়েই চলার ইচ্ছা আছে। অবৈধ আয় করলে লাভ হয় না বলেই আমি বিশ্বাস করি। এই টাকা থাকে না।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারের উপ-পরিদর্শক মাহদী জানান, উদ্ধার হওয়া টাকার প্রকৃত মালিককে তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। পুলিশ কুড়িয়ে পাওয়ার টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজছে।

যার টাকা হারিয়েছে তাকে ০১৭১৩৩৯৮৭৫৭ নম্বরে যোগাযোগ করার কথাও বলেন উপপরিদর্শক মাহদী।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031