প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমালোচনাকারীদের শিক্ষার মান উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে সাধারণ, মাদ্রাসা ও ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। শিক্ষার মান নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, কোনো কিছুই রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়। আগে আপনারা ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিন, সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য কিছু করুন, শিক্ষা দিন। তারপর কথা বলুন। শিক্ষার উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হিসেবে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য স্থির করেছে। দেশকে দারিদ্রমুক্ত করার জন্য শিক্ষাকে ‘মূলভিত্তি’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার শিক্ষার আরো উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা অশিক্ষামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং এর লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ে তোলা। যদি আমরা সকল লোকদের সুশিক্ষিত করে তুলতে পারি তা হলে এই লক্ষ্য অর্জিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রাইমারি এডুকেশন কমপিটিশন (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠানে পক্ষে পুনরায় তার অবস্থান তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের পরীক্ষা উচ্চতর পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য শিশুর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, শিক্ষায় আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য আমি বার বার পিইসি ও জেইসি পরীক্ষার আয়োজনের পক্ষে মতামত দিয়েছি এবং এতে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে, আমি মনে করি এটা খুব জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষকরা এই বৃত্তি পরীক্ষার্থীদের প্রতি মনোযোগী হতেন যাতে তারা বৃত্তি পায় কিন্তু অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি নজর দেয়ার সুযোগ পেতেন না। কেন এসব ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষার ব্যাপারে যথাযথ মনোযোগের সুযোগ পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম এবং ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং অন্যান্য সচিব ও সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031