আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ায় তাদের স্বাগত জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য। জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই বিজয়ী হবে। খবর বিডিনিউজের।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে পাঁচ বছর আগে জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হওয়া বিএনপি এবার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি বিএনপি পাঁচ বছর ধরে করে এলেও তাতে ‘গা’ করেনি আওয়ামী লীগ। শেষ সময়ে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে দলটির নেতারা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেও দৃশ্যত তাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি।
এরমধ্যে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিন দিন ধরে প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করছে আওয়ামী লীগ। আর গতকাল রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট, যেখানে বিএনপি নেতারাও ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় সংসদীয় বোর্ডের সভায় বক্তব্যে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে নির্বাচন করব। জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে- সেটাই আমরা করব। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।’ ১ থেকে ৭ নভেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনটা কীভাবে করব এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক দাবি-দাওয়া করেছিল। বেশ কিছু আমরা মেনে নিই। তাছাড়া নির্বাচনটা যেন সকলের জন্য অংশগ্রহণমূলক হতে পারে, সবাই যেন নির্বাচন করার সুযোগ পায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখব, সে কথা আমরা দিয়েছি।’
আওয়ামী লীগ সভানত্রেী বলেন, ‘আমরা সব সময় এটাই চাই যে, আমরা যে উন্নয়নটা করেছি তার ধারা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতিটা যেন কোনোমতেই থেমে না যায়। বাংলাদেশকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলতে চাই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে, সেভাবে যেন গড়ে তুলতে পারি সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমরা আলাপ-আলোচনা করি।’
মনোনয়ন ফরম আগ্রহী সবাইকে দেওয়া হলেও প্রার্থী নির্ধারণে ‘উপযুক্ত ব্যক্তিকে’ বাছাইয়ের চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি। সব সময় ৩০০ আসনেই নিজেদের প্রার্থী ঠিক করা হলেও পরে জোটের প্রার্থীদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
মনোনয়ন ফরম বিক্রির মধ্যেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা বসেছে। তবে এই সভায় প্রার্থীর মনোনয়ন নির্ধারিত হবে না বলে সকালেই এক অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা। দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে পরে আরও সভা হবে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংদসীয় বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রশিদুল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। এছাড়া কাজী জাফরুল্লাহ বিদেশে রয়েছেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031