কতটা ভয়ঙ্কর হলে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির দুঃসাহস দেখাতে পারে! কতটা বেপরোয়া হলে নিজ দলের সভানেত্রীর সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে পারে! কতটা খারাপ হলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গেও প্রতারণা করতে দ্বিধা করে না! এমনই ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলার পর তাকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সিলেক্ট করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেটা জালিয়াতির মাধ্যমে টেম্পারিং করে আরেকজনের নাম দিয়েছিল ছাত্রলীগ নেতাসহ একটি সিন্ডিকেট।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ছাত্রলীগের ওই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে ওয়ার্ড থানা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা নয়-খোদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি! এত বড় একটি পদে থেকেও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জালিয়াতি করতে পারল! আমার মাথায় কোনোভাবেই ঢুকতেছে না বিষয়টি। এই ছাত্রলীগ নেতাকে কারা রিক্রুট করলো গুরুত্বপূর্ণ ওই পদে ? কত টাকা খেয়ে তাকে রিক্রুট করলো? এগুলোর তদন্ত করে সেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মানবতার ফেরিওয়ালার তকমা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ানো চাঁদাবাজ এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অপরাধীদের ছাত্রলীগের বড় পদে বসানোর কারিগরদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষকের ধান কাটা,অনাহারীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সরবরাহ,করোনা আক্রান্ত রোগীর লাশ দাফন থেকে শুরু করে মানুষের বিপদে রাতদিন বিরামহীনভাবে পাশে আছে ছাত্রলীগ। এসব ভালো কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ যখন প্রশংসা করছিল ছাত্রলীগের, ঠিক সেই সময়ে ছাত্রলীগের এমন অর্জনে কালিমা লেপন করে দেয় তারিকুল মমিনের মত ভয়ঙ্কর ছাত্রলীগ নেতারা।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
