প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো বছর নিয়মিতভাবে বড় পরিসরে খননের মাধ্যমে নদীগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদীর প্রবাহ যেন ঠিক থাকে। নদীভাঙন রোধে দেশের বড় নদীগুলোকে বড় পরিসরে খনন করতে হবে। কারণ ভাঙনের প্রধান কারণ নদীর পানি যখন কমে যায় তখন চর পড়ে বা অন্যান্য কারণে পানি বেড়ে গেলে ভাঙন শুরু হয়। ফলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এসব বড় নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে পুরো বছর একটা ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা থাকতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এবং শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী/সচিবরা একনেক সভায় অংশ নেন।

সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। তিনি জানান, ড্রেজিংয়ের বিষয়ে যেসব প্রকল্প আছে সেগুলো দ্রুত একনেকে উপস্থাপনের জন্য অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ড্রেজিংয়ের বিষয়ে একটা স্থায়ী পরিবর্তনের এবং নিয়মিত ব্যবস্থাপনার জন্য একটা প্রকল্প নিতেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান পরিকল্পনা বিভাগের সচিব।

দ্রুত চর জাগার কারণে যেসব নদীপথ পরিবর্তন হয় বা ভাঙে– এগুলো চিহ্নিত করে ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে বর্ষাকালের পানি ধরে রাখার জন্য জোন তৈরি করতে হবে। যাতে পানির স্তর, অন্যান্য ব্যবস্থাপনা, পানির পরিমাণ বজায় থাকে– এ ব্যাপারে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নির্দেশনা দিয়েছেন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ি, পাটাগ্রাম ও বাঐখোলা এলাকা সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক।

একই নদীতে এরকম ভাঙন রোধে একাধিক প্রকল্প নেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, বাংলাদেশে যে পরিমাণ পানির ফ্লো (প্রবাহ) আসে, যে পরিমাণ বালু ও কাদামাটি নিয়ে আসে, এটা একদিকে আশীর্বাদ আরেক দিকে কষ্টের কারণ। আশীর্বাদ হলো নদীর পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি, সেগুলোতে পলি পাচ্ছে। সমস্যা হলো, এর ফলে আমাদের নদীগুলোতে প্রতিনিয়ত চর পড়ছে। কারণ যখন চর তৈরি হয়, মাঝখানে চর তৈরি হলে পানি হয় ডান-বাম দিকে যাবে, নয়তো ভাগ হয়ে যাবে। যখন ভাগ হয়ে যায়, তখন দুদিকে ভাঙন সৃষ্টি হয়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031