প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
এক বছর আগে ঈদুল ফিতরের জামাতে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার চেষ্টা হয়। জামাতে ঢুকতে না পেরে জঙ্গিরা পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলা করে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। জঙ্গিদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিজ ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এক নারী।
এক বছর আগের অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার শোলাকিয়াসহ দেশের সব ঈদের জামাতেই কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়। আর শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই জামাত আদায় করেছে কোটি কোটি মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবারের ঈদ অত্যন্ত ভালোভাবে এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রত্যেকটা জামাত শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোন রকম অঘটন ঘটেনি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আর আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ সকলেই চমৎকার কাজ করেছেন। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।’ ‘দেশের সাধারণ জনগণ সচেতন ছিলেন, সচেষ্ট ছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক মাস সিয়াম সাধনা করে এ ঈদ উৎসব। এটা সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের আনন্দ প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছানোর লক্ষ্য আমাদের। দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, শিক্ষা ব্যবস্থা, ভূমিহীন মানুষের গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করতে কাজ করছি।’
উন্নত দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হচ্ছে। মানুষ আজ আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে। আশাকরি মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হবে।’
‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, সারা বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা যে মর্যাদা হারিয়ে ছিলাম, তা আমরা এখন ফিরে পেয়েছি। আজ আবার আমাদের দেশ জেগে উঠেছে।’
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের উন্নয়নে পরিকল্পনাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী এবং মজবুত হবে। দেশের মানুষের ভাগ্য আরও পরিবর্তন হবে।’
