সহসাই অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরতে পারেন ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা । বিদেশ থাকার নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই তিনি দেশে ফিরতে পারেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। যদিও ওই সূত্র একেবারে নিশ্চিত করে প্রধান বিচারপতির  ফেরার দিন-তারিখ সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, এ নিয়ে তার কাছে কোন তথ্য নেই। এরআগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও এটর্নি জেনারেল জানিয়েছিলেন, প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে ফেরার কোন সুযোগ নেই। যদিও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী দিল্লিতে বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি যখনই চান দায়িত্বে ফিরতে পারবেন।

 এই অবস্থায় প্রধান বিচারপতি তার ছুটির মেয়াদ আরো এক মাস বাড়াতে পারেন এমন জল্পনাও রয়েছে।
নানা নাটকীয়তার পর গত ১৩ই অক্টোবর অস্ট্রেলিয়া সফরে যান সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। গত আগস্টে ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায় প্রকাশের পর সরকারি দলের নেতাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন প্রধান বিচারপতি। তাকে নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যেই তিনি সেপ্টেম্বরে জাপান ও কানাডা সফর শেষে দেশে আসেন। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে আদালত খোলার আগের দিন গত ২রা অক্টোবর হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। তার ছুটির আবেদনে অসুস্থতার কথা বলা হয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। যদিও বিদেশ যাওয়ার আগে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের দাবি তাকে সরকার চাপ প্রয়োগ করে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে।  গত ৩রা অক্টোবর প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্টকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। ওই চিঠিতে ১০ই নভেম্বর  পর্যন্ত তিনি বিদেশে থাকতে চান বলে উল্লেখ করেন। প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নৈতিক স্খলনের একাধিক অভিযোগের বিষয় প্রকাশ করা হয়। বিদেশে যাবার আগে হেয়ার রোডে তার নিজ বাসার সামনে প্রধান বিচারপতি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলে যান, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কিন্তু ইদানীং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী, বিশেষভাবে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন এতে আমি সত্যিই বিব্রত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সরকারের একটি মহল রায়কে ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন। যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস। এ সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031