আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সর্তক অবস্থায় রয়েছে। রাজধানীর প্রবেশ পথসহ মহানগরের ভেতরে গণপরিবহণে তল্লাশি বাড়িয়েছেন তারা। যাতে রায় বিপক্ষে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকায় জড়ো হয়ে কোন আন্দোলন করতে না পারে। এদিকে রাজধানীর সায়দাবাদ, গুলিস্তান, মহাখালী ও গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে রাজধানীমুখী দূর পাল্লার পরিবহণের সংখ্যা অনেক কম। গতকাল রাতে যেসব গাড়ী ঢাকায় আসার জন্য ছাড়া হয়েছিলো সে গাড়ীগুলোই এখন রাজধানীতে প্রবেশ করছে। আজ বুধবার নতুন করে কোনো গাড়ী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়া হয়নি।
এতে ঢাকায় দূর পাল্লার গাড়ির সংখ্যাও কমে গেছে। টার্মিনালগুলোতেও স্বাভাবিকভাবে যে পরিমাণ গাড়ি থাকার কথা সেরকম নেই। ফলে যারা ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাবেন তারা যানবাহন সঙ্কটের কারণে যেতে পারছেন না। ওদিকে, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, চাঁদপুরে এক প্লাটুন এবং সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও নারায়ণগঞ্জে তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সায়দাবাদে কথা হয় খুলনাগামী এক যাত্রীর সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করে তিনি বলেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেসে করে নিয়মিত যাতায়াত করেন তিনি। নির্দিষ্ট সময় পরপর গাড়ি ছাড়েন তারা। কিন্তু আজ কাউন্টারে এসে শুনেন গাড়ি নেই। তাই সন্ধ্যার পর যেতে হবে। কেন গাড়ি নাই জানতে চাইলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়, গতকাল রাতের গাড়ি এখনো ঢাকায় আসেনি। গাড়ির সঙ্কট রয়েছে। দুপুর ১টায় গাবতলী বাস টার্মিনালে নামেন যশোর থেকে আসা মিরাজ হোসেন। তিনি জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠেন। সাধারণত ঢাকায় পৌঁছতে ৪/৫ ঘণ্টা লাগলেও আজ এতো সময় লেগেছে। কেন এতো সময় লাগলো জানতে চাইলে মিরাজ বলেন, পথে পথে গাড়িতে পুলিশ তল্লাশি করছে। যার কারণে দেরি হচ্ছে। তিনি ৫টা চেকপোস্ট পার করে ঢাকায় এসেছেন বলে জানান। এদিকে সরকারের নির্দেশে গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। সায়দাবাদে একাত্তর পরিবহণের টিকেট কাউন্টারের আজিজুল হক বলেন, আগামীকাল খালেদা জিয়ার রায় আছে। রায়কে কেন্দ্র করে গাড়ির পরিমাণ কমে গেছে। সরকার থেকে নির্দেশ আছে। তাই গাড়ি ছাড়া বন্ধ রেখেছি। বন্ধ না রাখলে পরিবহণ শ্রমিকদের একটি অংশ গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। একই সঙ্গে রাজধানীর আবাসিক হোটেলগুলোতেও নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব বিষয়ে পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস বলেন, সব বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবাসিক হোটেলগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি চালাতে বলা হয়েছে।