বস্তাবর্তী কোটি কোটি টাকার মালিক বিহীন ইয়াবা সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ও বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পশ্চিম উপকুল দিয়ে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে । বিভিন্ন সুত্রে খবর নিয়ে জানা যায়, ইদানিং পাশ^বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে লক্ষ লক্ষ বস্তাবন্দী ইয়াবা পাচার হয়ে সাবরাং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ও শাহপরীর দ্বীপ উপকুল দিয়ে টেকনাফ শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করছে।

সুত্রে আরো জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে মাদক উৎপাদিত পাশ^বর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে নিত্য নতুন কৌশলে পাচারকারীরা ছোট ছোট মাছ ধরার নৌকা দিয়ে নাফনদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। তার পাশাপাশি পাচারকারিরা বঙ্গোবসাগরের দক্ষিণ, পশ্চিম উপকুল দিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে বড় বড় ইয়াবার চালান। সেই ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যদের সাড়াঁশি অভিযানে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে বড় বড় ইয়াবার চালান। কিন্তু এই লক্ষ লক্ষ ইয়াবা পাচারের সাথে কারা জড়িত, বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যদের হাতে ধরা পড়া মালিক বিহীন ইয়াবা গুলোর মুলহোতা কারা তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে টেকনাফের সচেতন মহল ও স্থানীয়দের অভিমত কোটি কোটি টাকার বস্তাবন্দী ইয়াবা পেলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরে চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে কিভাবে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। এবং কারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত, কেন ধরা পড়ছেনা সেই পাচারকারী গডফাদাররা, কেন তারা বার বার থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেই প্রশ্ন আজ মানুষের মুখে মুখে। এইভাবে প্রতিনিয়ত ইয়াবা পাচার ও মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধার চলতে থাকলে কোন দিনও ইয়াবা পাচার বন্ধ হবে না। তাই আমাদের দাবি, ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত মুলহোতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসলে মাদক পাচার প্রতিরোধে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সফলতা ফিরে আসবে। এদিকে মাত্র ৩৫ দিনের ব্যবধানে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যরা পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মালিক বিহীন বস্তাবন্দী ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অথচ এই সমস্ত ইয়াবার সাথে কারা জড়িত সেই রহস্য অধরাই থেকে গেল। টেকনাফ ২ বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সুত্রে জানা যায়, গত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু থেকে এই পর্যন্ত ২ বিজিবি সদস্যরা বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাফনদী সীমান্ত ও বঙ্গোবসাগরের দক্ষিণ, পশ্চিম উপকুল থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধার করে। অপরদিকে টেকনাফ কোষ্টগার্ড সদস্যরা সফল অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে ৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৫শত পিচ মালিক বিহীন বস্তাবন্দী ইয়াবা। এই সমস্ত অভিযানে পাচারকারীরা বিজিবি ও কোষ্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাবন্দী ইয়াবা পেলে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়।

টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবুজার আল জাহিদ গত রাতের মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমাদের সদস্যরা টেকনাফ উপজেলার সীমান্ত এলাকাকে মাদক প্রতিরোধ করতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এবং আমরা সেই প্রতিরোধের ধারাবাহিকতায় লক্ষ লক্ষ ইয়াবা আটক করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ইদানিং পাচারকারীরা তাদের নিত্য নতুন কৌশলে থেকে যাচ্ছে আড়ালে, তাই কিছু কিছু অভিযানে বিজিবি উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারিরা সু-কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে এই সমস্ত ইয়াবা পাচারের সাথে কারা জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে খুব শিগরই আইনের আওয়াতাই নিয়ে আসা হবে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ যদি পাচারকারীদের ধরতে সহযোগীতা করলে আমাদের অভিযানে আরো সফলতা ফিরে আসবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031