ইসরাইলি সরকারের একজন মন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের অর্থ হলো, ফিলিস্তিনি জনগণ কখনই নিজেদের রাষ্ট্র পাবে না। ট্রাম্পের জয়ের পরপর তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ‘দ্বিরাষ্ট্র সমাধানে’র জীবনাবসান হয়েছে। তিনি এ জয়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের শীর্ষ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।
খবরে বলা হয়, নাফতালি বেনেট নামে ওই ডানপন্থী রাজনীতিক ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী। তিনি দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতিস্থাপনকারীদের পক্ষের নেতা। ট্রাম্প জয় পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তিনি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের যুগ শেষ’। অনেক ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারীর প্রত্যাশা, দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইহুদী বসতিনির্মানের বিরুদ্ধে দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান, তা পাল্টাবেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি হয়তো ইসরাইলকে পশ্চিম তীরের বাদবাকি বড় অংশও দখল করতে ইতিবাচক সংকেত দেবেন।
দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, এ ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের যেকোন সম্ভাবনা হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। এ সমাধান মোতাবেক, ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানা অনুযায়ী ইসরাইল ও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পাশাপাশি থাকবে।
খবরে বলা হয়, শিক্ষামন্ত্রী বেনেট একটি উগ্র ডানপন্থী দলের প্রধান। এরকম বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ডানপন্থী দল রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর শাসক জোটে। বেনেট প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ট্রাম্পের জয়কে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসরাইলের অঙ্গিকার পরিত্যাগ করতে হবে। তার ভাষ্য, ‘ইসরাইলের জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে এখনই প্রত্যাখ্যান করার একটি সুযোগ হয়ে এসেছে ট্রাম্পের জয়। কারণ, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে আমাদের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল কারণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
