নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইএসপিএবি ও কোয়াব ডিএসসিসি এলাকায় মাথার ওপরের ঝুলন্ত তার মাটির নিচে প্রতিস্থাপনে ব্যর্থ হলে ডিএসসিি আবারও অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ঢাকার মূল সড়কগুলো হতে মাথার উপর ঝুলন্ত তার অপসারণ সম্পন্ন করতে পারবে। অন্যস্থায় ব্যবস্থা।
মঙ্গলবার দুপুরে আইএসপিএবি এবং কোয়াব কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা শহরের মূল সড়কগুলো হতে উপরের ঝুলন্ত তার ভূগর্ভে প্রতিস্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে আইএসপি এবং কোয়াব এর সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কোন রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়াই আমরা তাদেরকে মাথার উপরের ঝুলন্ত তার মাটির অভ্যন্তরে নেয়ার সুযোগ দিয়েছি। এই কার্যক্রমের জন্য তারা প্রথমত ধানমন্ডি এলাকাকে বেছে নিয়েছে, আজ আমি তার অগ্রগতি পরিদর্শন এসেছি। কিন্তু তারা যে পর্যায়ে আছে, সেটা সন্তুষ্ঠির মধ্যে নাই।
তাপস বলেন, আমরা তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই কার্যক্রমের সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধি করে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুমোদন করেছি।
আশা করি তারা সে বিষয়টি অনুধাবন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে। কারণ ঢাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে তারের জঞ্জালে আবদ্ধ। আমরা ঢাকাবাসীকে তারের জঞ্জাল থেকে মুক্তি দিতে চাই। আর যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে না পারে তবে আমরা আবারও ঝুলন্ত তার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করব।
চলমান ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ নিয়ে মেয়র জানান, আমাদের কার্যক্রম কোন ব্যক্তি কেন্দ্রিক না। আমাদের কার্যক্রম ঢাকা শহরের সকল অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে। পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আমরা আরো কিছু মার্কেটে অবৈধ দখল চিহ্নিত করেছি আমরা সেসব অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এই উচ্ছেদ কার্যক্রমে প্রকৃত ও বৈধ কোন দোকান মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা তাদেরকে পুনর্বাসন করব। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডাক্তার শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, পরিদর্শনকৃত ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
