হাইকোর্ট চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে থাকা কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে ফের তিন মাস সময় দিয়েছেন । অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট স্থানের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন আদালত। এসব উচ্ছেদ কার্যক্রমে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য ১২ই মে দিন ধার্য করেন আদালত। আদালতে চেয়ারম্যানের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা ও আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে থাকা কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দর কর্তৃপক্ষকে তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট স্থানের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহায়তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে, আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৬ সালে রায় দিয়েছিলেন আদালত। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা বার বার আদালতে আসছি। আজকে হাজির হয়ে (চেয়ারম্যান) লিখিত আবেদন দিয়ে বলেছেন, আমরা (বন্দর কর্তৃপক্ষ) কাজ করতেছি। অলরেডি ৫৮ একরের মধ্যে ৩৫ একর উচ্ছেদ করেছি। ২৩ একর উচ্ছেদে বিভিন্ন সমস্যা আছে। আরও ছয় মাস সময় প্রয়োজন। তখন আমরা আপত্তি দিয়েছি। আদালত সমস্যার বিষয়গুলো লিখিত দিতে বলেন। পরে তারা লিখিতভাবে দিয়েছেন। সেখানে বলেছে-ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে তারা উচ্ছেদ করতে পারবে না। এটা একটা ঝামেলা হবে। পরে আদালত পানি, বিদ্যু ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে অবৈধ স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন। আর একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের আদালত রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১১ দফা নির্দেশনা দেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031