জাতীয় পতাকা অবমাননার ছবি ফেসবুকে প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে । পতাকা অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই যুবকের নাম মাজাহারুল। উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের কদিম দেওহাটা গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান।
সোমবার রাতে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, মাজাহারুলের বাম হাতে জাতীয় পতাকা ধরে আছেন। আর ডান হাতে স্যান্ডেল দিয়ে সে পতাকায় বাড়ি দিচ্ছেন।
ছবিটি ফেসবুকে আসার পরপর মাজাহারুলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার দাবি জানাতে থাকেন বহুজন।
মায়াজ্জেম হোসেন অনিক নামে অপর একজন লেখেন, ‘রাজাকারের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়েছে।’
মিলন মোর্শেদ নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই ছবি পোস্ট দিয়ে মাজাহারুলকে গ্রেপ্তারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার দুর্লভ বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনিও ওই যুবকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক) সিদ্দিকুর রহমানও একই দাবি জানান।
পৌর আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে রঞ্জিত পতাকা যে অবমাননা করতে পারে সে এদেশের নাগরিক হতে পারে না। তার দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তার সর্বোচ্চ শান্তির আশা করছি।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবক মাজাহারুলের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
একই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান নামে এক আত্মীয় এই যুবক জানিয়েছেন, ছবিটি বেশ আগের তোলা। সোমবার রাতে কে বা কারা ছবিটি ফেসবুকে আপ করেছেন তিনি তা জানেন না।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত সাদমীন বলেন, পোস্টটি দেখার পরই চিঠির মাধ্যমে পুলিশকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছি।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক বলেন, ওই যুবককে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
