দুই সন্দেহভাজন আসামি নিহত হয়েছেন রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ডিবি পুলিশের কথিত বন্দুকযুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হত্যাকাণ্ড মামলার । নিহতরা হলেন-   নুরুল ইসলাম ওরফে কিলার সানি (২৮) ও অমিত হোসেন ওরফে গলাকাটা অমিত (৩৫)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি, নিহত দু’জনই বাড্ডা এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলার সন্দেহভাজন আসামি। ঘটনার পরই তারা দু’জন পলাতক ছিল। তাদের নামে বাড্ডা থানাসহ আশপাশের থানায় একাধিক হত্যা ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে।

পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৩টার দিকে মেরুল বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায় প্রজাপতি গার্ডেনের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে একাধিক সন্ত্রাসী জড়ো হচ্ছে এমন তথ্য আসে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এতে অমিত ও নুরুল গুলিবিদ্ধ হন। তাদের বুকে ও পেটে একাধিক গুলি লাগে। পাল্টাপাল্টি গুলিবর্ষণে কয়েক সন্ত্রাসী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অমিত ও নুরুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের ডিসি মো. মশিউর রহমান মানবজমিনকে জানান, গত ১৫ই জুন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ১ নম্বর লেন সংলগ্ন বায়তুস সালাম জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের পরিবার বাড্ডা থানায় একটি মামলা করে। তিনি আরো জানান, মামলাটি থানা পুলিশ কিছুদিন তদন্ত করার পর ডিবিতে স্থানান্তর হলে সেটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্তে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজে ফরহাদ হত্যার পর দু’জনকে অস্ত্র হাতে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ফুটেজে লাল গেঞ্জি পরিহিত যুবকটি ছিল সানি। অন্য যুবকটি হচ্ছে অমিত। তারা খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। পুলিশ তাদের খুঁজছিল। তিনি আরো জানান, এই দুই সন্ত্রাসী ভারতে পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী আশিক ও আমেরিকায় পালিয়ে থাকা সন্ত্রাসী মেহেদীর সহযোগী। তাদের নামে বাড্ডা থানাসহ আশপাশের থানায় একাধিক মামলা ছিল।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের কোনো স্বজন হাসপাতালে যাননি। এজন্য তাদের পরিচয়ের বিষয়ে পুলিশের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031