আইইডিসিআর নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে। গতকাল সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা দেশে নতুন তিনজন কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আগে এসব সমাবেশে নিরুৎসাহিত করলেও এখন থেকে সেটা বন্ধ রাখার পক্ষে তারা। আমরা আগে নিরুৎসাহিত করেছি। কিন্তু এখন আমরা বলছি সব ধরনের সভা-সমাবেশ আপনারা বন্ধ রাখুন। যেখানে গণজমায়েত হতে পারে বা যেখানে অপরিচিত মানুষের আনাগোনা হতে পারে, সে ধরনের সমাবেশ বন্ধ রাখুন। খবর বিডিনিউজের। বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতদের অধিকাংশ বয়স্ক বলে অতি বয়স্ক ব্যক্তি ও দীর্ঘ মেয়াদে অসুখে ভুগছেন- এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানান অধ্যাপক ফ্লোরা। তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় হলে তারা যেন মাস্ক ব্যবহার করে বাইরে যান। আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, কভিড-১৯ কোনো কঠিন রোগ নয়। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আক্রান্তদের মৃদু হাঁচি-কাশি, গলাব্যথা বা জ্বরে ভুগতে দেখা গেছে। যে কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি সতর্কতায়, সচেতন হওয়ার উপরে। সবার অংশগ্রহণ ছাড়া কিন্তু রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এই মুহূর্তে দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশে না আসতে অনুরোধ জানান অধ্যাপক ফ্লোরা। এছাড়া কারও সঙ্গে হাত মেলানো, কোলাকুলি না করারও অনুরোধও জানান তিনি।
হোম কোয়ারেন্টাইন না মানলে কঠোর ব্যবস্থা : বিদেশে থেকে আসা সবার ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কেউ তা না মানলে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ বিষয়ে কঠোর হতে জেলা পর্যায়ে গঠিত কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারীর আকার নেওয়ার মধ্যে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ৬ লাখ ৬ হাজার ১২ জন বাংলাদেশি দেশে এসেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এসেছেন ৯ হাজার ৭৬৫ জন। দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়াও স্থল ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করেও এসেছেন এসেছেন অনেকে। বিদেশ ফেরত সবেইকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও তা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে তা না মেনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় থাকা বিদেশফেরতদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কিছু ঘটনা আইইডিসিআরের নজরে এসেছে বলে জানান অধ্যাপক ফ্লোরা। এ ব্যাপারে বিদেশফেরতদের পরিবারের সদস্যদের সচেতনতাও জরুরি জানিয়ে তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে না পারলে এ রোগের বিস্তার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, আমরা আবারও অনুরোধ করছি, যারা বাইরে থেকে আসছি, তারা যেন পরিবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখি। আমরা যেসব ব্যবস্থা নিচ্ছি তাতে সমাজ থেকে তাদের দূরে রাখতে পারব। যদি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দূরে রাখা না যায়, তাহলে এ রোগের সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
