তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে । এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষ চতুর্থ দফায় বন্যার আশঙ্কা করছেন। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা ও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার কালমাটি, চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। এদিকে অব্যাহত বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চলেও কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। দোয়ানি ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাতের মধ্যে তিস্তার পানি কমতে পারে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031