তৃতীয় রাজ্য হলো যাকে আজ করোনামুক্ত ঘোষণা দিলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব মনিপুর ও গোয়ার পরে ভারতের ত্রিপুরা । অথচ ত্রিপুরা ফেরত আরো এক বাংলাদেশীর দেহে কোভিড -১৯ পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ার ঘটনায় সীমান্তের উভয় পাশে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ত্রিপুরা প্রশাসন খোজ খোজ রব তুলেছে। তারা খতিয়ে দেখছেন, ওই নারীর সংশ্রবে ত্রিপুরার কোন বাড়ির কারা এসেছিলেন। ২৩ এপ্রিল আগরতলা থেকে এ খবর দিয়েছে নর্থইস্টনাউ। আবার একইদিনে করোনাক্রান্ত ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্ত থেকে সিপাহি জেলা দিয়ে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটতে পারে এই আশংকায় বিএসএফ বাহিনীকে শক্তি যোগাতে ত্রিপুরায় স্টেট রাইফেলস মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা বলেছেন, ত্রিপুরা কুমিল্লার চেয়ে বেশি নিরাপদ তাই বাংলাদেশীরা ত্রিপুরায় আশ্রয় নেওয়ার বেশ কয়েকটি চেষ্টা চালিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা প্রশাসনকে খবর না দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত বুধবার সোনামুরায় একটি আন্ত প্রশাসনিক সভা
হয়েছে। একজন স্বরাষ্ট্র বিভাগীয় কর্মকর্তা বলেছেন, ’’ বাংলাদেশের সঙ্গে ৮৫৬
কিমি স্থল সীমান্ত রয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরার সিপাহিজালা ও সিমনা এলাকার
লাগোয়া সীমান্তই শতকরা ৮০ ভাগ। এই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই। অন্যদিকে
১০ লাখ লোকের একটি জানাযা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় অধিকতর
সংক্রমণের ভয় তৈরি হয়েছে কুমিল্লা অঞ্চলে। ’’
অনলাইন পত্রিকাটি বলেছে, ঘটনাটি ত্রিপুরা জুড়ে এটা উদ্বেগজনক বার্তা প্রেরণ করেছে। উচ্চতর কর্তৃপক্ষের মধ্যে আতংক ছড়িয়েছে।
ত্রিপুরার
কোভিড -১৯ নজরদারি কর্মকর্তা দীপ দেববর্মা বলেন, “আমরা যখন জানতে পেরেছি
যে বাংলাদেশী মহিলা কোভিড -১৯ এর পরীক্ষা ইতিবাচক ধরা পড়েছে, তখনই আগরতলার
আড়ালিয়া এলাকার এক পরিবারের ১১ জনকে কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়।”
“৭০
বছর বয়সী ওই মহিলা ২৭শে জানুয়ারী আগরতলা সফরে এসে ৭ এপ্রিল বাংলাদেশে
ফিরে আসেন। তিনি এখানে আড়ালিয়ায় তার স্বজনদের বাড়িতে এসেছিলেন,”
দেববর্মা বলেন।
“বাংলাদেশে পৌঁছানোর পরে তাকে বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ
কর্তৃক কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ২১ শে এপ্রিল তার
কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পরে কর্তৃপক্ষ তার সোয়াব-নমুনা গ্রহণ করে এবং
তারা তাকে কোভিড পজিটিভ বলে ঘোষণা করে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশী
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে আমাদের এই প্রতিবেদন
সম্পর্কে অবহিত করেন এবং আমরা তাত্ক্ষণিকভাবে আরালিয়ায় গিয়ে তার ১১ জন
আত্মীয়কে কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করেছি।
এটি ত্রিপুরা সফর করে যাওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশীর ঘটনা, যিনি বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরে তার করোনা ধরা পড়ল।
ত্রিপুরার
সিপাহিজালা জেলার মেলাঘর থেকে পাওয়া অন্য একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
সপিরবারে অন্য আরো এক ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে সেখানে যান এবং তিনি তার
আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন।
তিনি ও তার পরিবার গত ৬ এপ্রিল বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং তারা কোয়ারেন্টিনে থাকেন।
“তবে,
যখন পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন পরিবারের একজন সদস্য কোভিড পজিটিভ বলে
প্রমাণিত হয়েছিল। এই খবরের পরেও মেলাঘরে থাকা তার আত্মীয়দের পরিবারকেও
কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। মি. দেববর্মা এই তথ্যও নিশ্চিত করেন।
দেববর্মা আরও বলেছেন, “আমরা বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ বজায় রাখছি।’’
