বাংলাদেশ ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে দিন শেষ করল । অলআউট হয়নি বটে, প্রথম দিনে ৯ উইকেটে স্কোরবোর্ডে তোলেছে ৩১০ রান। ক্ষত বাড়িয়েছে একটা পরিসংখ্যান, আউট হওয়া সবাই ছুঁয়েছে দুই অঙ্কের ঘর। তবে সেঞ্চুরি তো দূর, হাফসেঞ্চুরিই ছিল মোটে একটি।

সিলেটে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেছেন তিনি। বাকি সবাই ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তের ৩৭ রান। কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

মঙ্গলবার অভিষেকেই টস জেতেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাটিং নিতে দ্বিধা করেননি তিনি। অভিষেক হয় শাহাদাত হোসেন দিপুর। দেড় বছর পর একাদশে ফেরেন নাইম হাসান।

এদিন দেখেশুনে শুরু করেও বিপদ এড়াতে পারেনি টাইগাররা। ১৩তম ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ফেরেন জাকির হাসান। শুরু থেকেই খানিকটা নড়বড়ে থাকা জাকির ফেরেন এজাজের বলে ৪১ বলে ১২ রানে।

জাকিরের বিদায়ের পর হাল ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তুলনামূলক আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলতে থাকেন তিনি। মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে গড়েন ৫৩ রানের জুটি।

তবে বিরতির খানিকটা আগে শান্ত বিদায় নেন ছক্কা মারতে গিয়ে। গেøন ফিলিপসের একটি ফুল টস ডেলিভারি উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অনে কেন উইলিয়ামসনের তালুবন্দী হন শান্ত। ফেরার আগে দুটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৭ রান করেন তিনি।

এরপর জয় ও মুমিনুল হক মিলে দলকে পাড় করেন তিন অঙ্কের গণ্ডি। খানিক বাদে ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক তুলে নেন জয়। ছুটতে থাকেন শতকের দিকে। দু’জনের যুগলবন্দী প্রত্যাশা বাড়াতে থাকে।

তবে মাঝ দুপুরে আরো একবার উইকেট ধরে রাখতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। পাঁচ বলের ব্যবধানে হারিয়েছে জোড়া উইকেট। ৮৮ রানের জুটি ভেঙে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক উভয়েই।

দু’জনেই ফিরেন পর পর দুই ওভারে, যা বিপদে ফেলে দেয় দলকে। ৫২.৫ ওভারে মুমিনুল ফেরেন ফিলিপসের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭৮ বলে ৩৭ রানে। পরের ওভারেই ইশ সোধি ফেরান দুর্দান্ত খেলতে থাকা জয়কে। শতকের দিকে হাঁটতে থাকা জয় থামেন ১৬৬ বলে ৮৬ রানে।

মুশফিক ভরসা হয়ে ফুঁটতে পারেননি। ১২ রানেই এজাজের দ্বিতীয় শিকার তিনি। অভিষিক্ত শাহাদ দিপু, মেহেদী মিরাজ ও নুরুল হাসান সোহান; ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস টানতে পারেননি এই তিন লোয়ার অর্ডার। দিপু ২৪, সোহান ২৯ ও মিরাজ ফেরেন ২০ রানে। ১৬ রান করে দিনের শেষ উইকেটে পরিণত হন নাইম।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031