মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমীর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে দুঃস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে পুলিশের বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি চারটি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে দেখি সেখানের সব আয়োজন পুলিশ তছনছ করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন ফখরুল।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ১০ দিনের কর্মসূচি চলছে বিএনপির। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রপতি হওয়া জিয়াউর রহমান নিহত হন একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গুলিতে প্রাণ হারান তিনি।
ক্ষমতায় থাকাকালে জিয়া প্রতিষ্ঠা করেন বিএনপি। আর দলীয় প্রতিষ্ঠাতার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে আজ রাজধানীতে দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিরতণের কর্মসূচি ছিল।
ফখরুল বলেন, ‘এ জন্য তিনদিন আগে ডিএমপির (ঢাকা মহানগর পুলিশ) কাছে চিঠি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত পুলিশ কিছু বলেনি। রাত ১২টার বলা হয় ঘরের মধ্যে কিছু করতে চাইলে করা যাবে কিন্তু বাইরে করা যাবে না। কিন্তু আমাদের ঘরের মধ্যেও কর্মসূচি করতে দিচ্ছে না পুলিশ।’
‘আমি প্রথমে টিএন্ডটি স্কুল মাঠে গিয়ে দেখি পুলিশ সেখানকার চেয়ার টেবিল ভেঙে দিয়েছে। তারমধ্যেও কিছু ত্রাণ বিরতণ করে মোহাম্মদপুর টাউন হলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেও পুলিশ করতে দেয়নি।’
‘সেখান থেকে আমাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলাবাগানেও যাওয়ার কথা ছিলে, সেখানেও বাধা দিয়েছে। কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
‘(ঢাকা) মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার জানালেন তিনি ২৫টি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করতে চেয়েছিলেন। একটাতেও পুলিশ অনুমতি দেয়নি।’
সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘সরকারের দমননীতি, বিরোধী দলের পথ ও মতকে দমন করা, বিএনপিকে দমন করা। বিশেষ করে জিয়াউর রহমানের আদর্শকে নির্মূল করতে সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে।’
