মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হতিন কাইওয়া দুটি বালিকার সঙ্গে ক্রীতদাসের মতো আচরণ করার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই দুটি বালিকাকে রাজধানী ইয়াঙ্গুনে একটি দর্জি দোকানে আটকে রাখা হয়েছিল। এ সময় তাদেরকে পিতামাতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়া হয় নি। বাড়ি যেতে দেয়া হয় নি। তারা পায় নি কোনো ছুটি। দীর্ঘদিন তারকে দেয়া হয় নি কোনো বেতন। এ অবস্থায় একজন সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় তারা মুক্তি পেয়েছে গত সপ্তাহে। বুধবার বিষয়টি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। এরপরই ওই দর্জি দোকানের মালিক ও তার পরিবারের দু’সদস্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এর আগে নির্যাতিত বালিকা দুটির পিতামাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তারা অভিযোগ আমলে নেয় নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, ওই বালিকা দুটিকে যখন ইয়াঙ্গুনে পাঠানো হয় তখন তাদের বয়স ছিল ১১ ও ১২ বছর। তাদেরকে ইয়াঙ্গুনে গৃহপরিচারিকা বানানো হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তাদেরকে আধুনিক যুগের ক্রীতদাস বানিয়ে ফেলা হয়। তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে। তাদেরকে উদ্ধার করার পর শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ওই দু’বালিকার একজনের বয়স এখন ১৬ বছর। সে বলেছে, লোহা দিয়ে আমাকে পেটানো হতো। পায়ে আঘাত করা হতো। মাথায় আঘাত করা হতো। আমার রান্না ভাল হয় নি বলে আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ সময় সে তার নাকের ওপরের ক্ষত দেখায়। আরেকটি বালিকার বয়স এখন ১৭ বছর। তার শরীর পুড়ে গেছে। মালিক তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। কিন্তু তাদের পরিবার এ বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে হতাশ হয়েছে বার বারই। কিন্তু শয়ে উইন নামে একজন সাংবাদিক এগিয়ে যান। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানান। পুলিশকে জানান। কিন্তু এবারও পুলিশ সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর শয়ে উইন বিষয়টি নিয়ে যান জাতীয় মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনে। তারা উদ্যোগী হয়ে ওই বালিকা দুটিকে উদ্ধার করে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031