ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ‘সরকার জোর করে নির্বাচন দেয়ার চেষ্টা করলেও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি তাতে অংশ নিবে না বলে জানিয়েছেন । এসময় তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচন আসছে। প্রধানমন্ত্রী একক ক্ষমতার অধিকারী, সংবিধান পরিবর্তন করে সেটা যদি বাদ দেয়া না হয়, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনার যদি বহাল থাকে এবং বেগম খালেদা জিয়া যদি কারাগারে থাকে তাহলে জনগণ ভোট প্রত্যাখ্যান করবে।
বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে আয়েজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গতকাল বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে নূর আহমদ সড়কে এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
‘ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে নতুন একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ দাবি করে নোমান বলেন, এ ষড়যন্ত্রকে আমরা রুখে দাঁড়াবো। আমরা মনে করি, ইভিএম পদ্ধতির মধ্য দিয়ে নতুন করে কারচুপির নির্বাচনের একটা অপচেষ্টা করছে সরকার। ইবিএম পদ্ধতি তো আদৌ চালু হবে না, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয় কি না সেই শঙ্কা আছে আমাদের মধ্যে। আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচন চায় কি না সেটা নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা রয়ে গেছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, আমাদের দলীয় ঐক্য প্রয়োজন, সাথে জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য ছাড়া আমরা লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবো না। দলীয় এবং জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে সামনে এগুলেও জয় হবে না। আবদুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, ‘গতকাল প্রধানন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) একটা বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ‘জনগণই হচ্ছে তাদের শক্তি, অন্য কিছু নয়।’ তাহলে আমাদের প্রশ্ন, ১৫৪ জন সংসদের ভোট কোন জনগণ দিয়েছে? আসলে জনগণের উপর এ সরকারের কোন আস্থা নেই। এ জনগণ এ সরকার থেকে ভাল কিছু পায় নি। উপহার পেয়েছে শুধু অত্যচার ও নিপীড়ন, জেল–জুলম ও খুন গুম।’
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে জনগণ যে কোন মুহূর্তে রাস্তায় নেমে সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটাতে পারে উল্লেখ করে নোমান বলেন, আমরা উচ্ছৃঙ্খলা চাই না। সহিংস কোন আন্দোলন চাই না। বরং আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে। এসময় নোমান বলেন, লক্ষ্য পূরণে আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
রাজনৈতিক কারণেই বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আছে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বেগম জিয়া শুধু মাত্র জাতীয়তাবাদী দলকেই একত্রিত করছিলেন না, বরং তিনি জাতীয়তবাদী শক্তিকে একীভূত করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসব কারণেই দেশনেত্রীকে কারাবরণ করতে হয়েছে। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র নেই। ভোটাধিকার নেই।
নোমান আলো বলেন, বেগম জিয়া কারাগারে আছেন, এর অর্থ এই না যে, বিএনপি শেষ হয়ে গেছে। একদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণের পর প্রশ্ন উঠেছিল। তখন নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়েছিল, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে।’ আজকে সেটাই হয়েছে। শহীদ জিয়ার গড়া দল অনেক শক্তিশালী ও বিশাল রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
বেগম জিয়াকে ছাড়া এ দেশে রাজনীতি হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় রাজনীতির বিষয়টি সংবিধানেই আছে। সংবিধানে বিরোধী দলের রাজনীতির ভূমিকার কথা আছে। বিরোধী দল মানুষের অধিকারের কথা বলবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে এবং সভা–সমাবেশ করবে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সেই অধিকার থেকেই আমরা বঞ্চিত। এ সময় নোমান জনগণকে সাথে নিয়ে অধিকার আদায় করার ঘোষণা দেন এবং তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
বিএনপিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে নোমান বলেন, এ দলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। মাছ যেমন পানি ছাড়া বাঁচতে পারে না, এদেশের মানুষও তেমনি বিএনপি ছাড়া বাঁচতে পারবে না।
লালদীঘি মাঠে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া প্রসঙ্গে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সমাবেশ এখানে (পার্টি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়কে) সম্ভব না। তাই পুলিশ কমিশনারকে বলেছিলাম, আমাদের লালদীঘির মাঠটা দেন। দেয় নি। কাজীর দেউড়ি চেয়েছিলাম, সেটাও দেয় নি। শেষ পর্যন্ত এখানে (পার্টি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়কে) সমাবেশ করায় সমস্যা হচ্ছে, নেতাকর্মীরা এবং চট্টগ্রামের যারা শ্রোতা তারা যথাযথভাবে সমাবেশ শুনতে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আগামীতে আমরা রাস্তায় জনসভা করতে চাই না। মাঠেই জনসভা করার মত শক্তি বিএনপির রয়েছে। আমরা রাস্তা বন্ধ করতে চাই না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আরো বলেন, ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ওই সময় রাজনৈতিক শূন্যতা ছিল এবং তা পূরণের জন্য জাতীয়তবাদী শক্তিকে একীভূত করে গড়ে তুলেছিলেন বিএনপি। এই জাতীয়তাবাদী শক্তিই বাকশালের পরিবর্তে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দল প্রতিষ্ঠার পর গণমানুষের সাথে সম্পৃক্ত নেতাদের সংগঠিত করেই দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এসময় নোমান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতি জাতীয়তাবাদীর রাজনীতি এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি।
চট্টগ্রাম থেকেই গণ অভ্যুত্থান:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম গর্জে উঠলে বাংলাদেশ গর্জে উঠবে। বেগম জিয়াকে মুক্ত করে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য চট্টগ্রাম থেকেই অভ্যুত্থান শুরু করবো। বেগম জিয়ার জন্য জান দিতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের কাছে দল অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মীর নাছির বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ও তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করলে শায়েস্তা করবে।’ আমরা বলছি, গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব। যত কিছুই করেন লক্ষ লক্ষ জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেন না।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা রায়ের দিকে ইঙ্গিত করে মীর নাছির বলেন, বেগম জিয়া ও তারেক রাহমানের বিরুদ্ধে আরেকটি ষড়যন্ত্রের কথা শুনা যাচ্ছে। অথচ ২০০৭ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী যখন জেলে ছিলেন তখন ১৬১ ধারায় একটি জবানবন্দি দিয়েছিলেন। সেখানে তারেক রহমান ও বেগম জিয়ার কথা বলেন নি। এটা কোর্ট রেকর্ড। এসময় মীর নাছির প্রশ্ন রাখেন, আজকে কেন বলছেন? মনে হচ্ছে তারা পরিকল্পিতভাবে বলছেন। তারা বেগম জিয়াকে জেলে নিয়ে যেমন আতংকিত তেমনি তার মুক্তির পর যে গণবিস্ফোরণ ঘটবে সেটা নিয়েও চিন্তিত। মীর নাছির বলেন, আজকের আইজিপি তখন সিআইডির মহাপরিচালক ছিলেন। ওই সময় তদন্তে বলেছিলেন, বিএনপির সংশ্লিষ্টতা নেই। মুফতি হান্নান এ কাজ করেছে।’ তিনি বলেন, শত ষড়যন্ত্র করেও বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।
মীর নাছির বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট যে বিপ্লব ঘটেছে আওয়ামীলীগই আজ ভেনিফিসায়ারী। খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে হয়েছিল সেদিন, বিএনপি ছিল না। অথচ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আজ দায়ী করা হচ্ছে।’
মীর নাছির আরো বলেন, ‘সামরিক শাসক এরশাদ যখন ক্ষমতা নেয় তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘অ্যাই এম নট আনহ্যাপি’। কেন? সামরিক শাসন ভাল লাগে তাই না?
মীর নাছির বলেন, ‘আমি কাজীর দেউড়ি থেকে হেঁটে হেঁটে সমাবেশে আসছিলাম। লোক সমাবেশ দেখে পাশের লোককে বলতে শুনলাম, মনে হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় চলে এসেছে। তিনি বলেন, শহীদ জিয়া ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী স্বাধীন স্বত্বা নিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে এেেদশের মানুষ মাথা উঁচু করে থাকার জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন। যতদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মত ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে বিএনপি।
মীর নাছির আরো বলেন, বিএনপি নেতা নির্ভর দল না। কর্মী নির্ভর এবং জনগণ নির্ভর। আওয়ামী লীগ মনে করেছে, বেগম জিয়াকে জেলে রেখে যেন–তেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবে। সেটা হতে পারে না। এসময় তিনি বলেন, জনগণ যেভাবে চায় সেভাবেই আগামী নির্বাচন হবে। জনগণ সিলেক্টেড নয়, ইলেক্টেড প্রাইম মিনিস্টার চায়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘রক্ত দিয়ে হলেও বেগম জিয়াকে মুক্ত করে এনে গণতন্ত্র পুন:পপ্রতিষ্ঠা করবো।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি নাকি ওয়ান–ইলেভেনের গন্ধ পাচ্ছেন। তার নাক পরিষ্কার, তাই তিনি গন্ধ পাচ্ছেন। কিন্তু তিনি কি গন্ধ পাচ্ছেন না, আমাদের নেত্রী আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এবং আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন? এসময় তিনি অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচন দেয়ার আহবান জানান সরকারকে। তিনি বলেন, আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে জনগণ গণঅভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী লং মার্চ করবো। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জাতীয়তাবাদী পরিবার আজ ঐক্যবদ্ধ। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য চট্টগ্রামে কোন মিছিল ও মিটিং নয়, স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি গ্রহণ করবো। ইভিএম নিয়ে সরকার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা ইভিএম পদ্ধতি দিয়ে ভোট চুরি করে ১০০ টি আসন আগে থেকেই নিশ্চিত করতে চায়। তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে সরকার। আগামী নির্বাচনে জনগণ সরকারের এই ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে তারা আরেকটি এক তরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সভাসমাবেশ করার অধিকার হরণ করে বিএনপিকে নির্মূল করার যে ষড়যন্ত্র করছে সরকার তা এদেশের জনগণ রুখে দেবে। বিএনপি জনমানুষের দল, সাধারণ মানুষের ভালবাসায় বিএনপি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করবে বিএনপি। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এইদিনে দীপ্ত শপথ নিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম জিয়ার মুক্তি হলেই দেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব সামশুল আলম বলেন, সকল প্রতিকূল পরিবেশ ও প্রতিবন্ধকতার মাঝেও আজকের সফল সমাবেশ প্রমাণ করে চট্টগ্রামের জনগণ বিএনপির সাথে আছে। কোন অপশক্তি বিএনপির অগ্রযাত্রকে রুখে দিতে পারবে না। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপি আন্দোলনে আছে, অািধকার আদায় করে নির্বাচনেও যাবে। বিএনপিকে ছাড়া কোন নির্বাচন এদেশে হবে না। সদ্য কারামুক্ত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদকে জনসমাবেশ মঞ্চে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সাবেক কাউন্সিলর সামশুল আলম, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, হাজী মোঃ আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, ছৈয়দ আহমদ, সাবেক কমিশনার মাহাবুবুল আলম, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, ইকবাল চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, কাউন্সিল আবুল হাসেম, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, শাহেদ বঙ, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মোঃ তৈয়ব, সিহাব উদ্দিন মুবিন, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মনোয়ারা বেগম মণি, এইচ এম রাশেদ খান প্রমুখসহ মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ড ও ১৫ টি থানা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
