কঠোর নজরদারি রাখা হবে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন ফ্লাক্স ভর্তি চা ও গ্যাস সিলিন্ডারসহ কোন বেলুন বিক্রেতার উপর, কোন ভাবেই ‘বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না তারা, এয়াড়াও ভুবুজেলা ও মুখোশ বিষয়সহ মোট ১৭টি করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় তুলে ধরেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ‘বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানমালায় করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ’ জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিএমপি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া যে কেউ মুখোশ সঙ্গে নিতে পারবে। তবে শর্ত হলো-মুখোশ মুখে নয়, তা কেবল হাতে করে বহন করা যাবে।
ইকবাল বাহার বলেন, ‘নববর্ষের শোভাযাত্রায় ভুবুজেলা বাজানো যাবে না। মুখোশ মুখে লাগানো যাবে না, তবে তা হাতে বহন করা যাবে।’
পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে উন্মুক্ত স্থানে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। তবে আবদ্ধস্থানে (ইনডোর) আয়োজিত অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই সিএমপি’র অনুমতি নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করতে হবে।’
মোটরসাইকেল ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু তাতে চালক ব্যতীত আরও কোনো আরোহী থাকতে পারবে না। আর অনুষ্ঠানস্থলে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। সুবিধাজনক স্থানে গাড়ি রেখে হেঁটে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দিতে হবে।’-বলেন পুলিশ কমিশনার।
এছাড়া পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শোভাযাত্রায় কোনো ধরণের ব্যাগ, পোটলা, প্যাকেট বহন করা যাবে না। পাশাপাশি অনুষ্ঠানস্থলে ঢোঁকার সময় সকলকে দেহ তল্লাশিতে সহায়তা করা হবে।’
‘শোভাযাত্রায় এবং সমাবেশস্থলে পানি বা অন্য কোনো পানীয়েল বোতল বহন করা যাবে না। আমাদের পক্ষে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র, দাহ্য পদার্থ এবং বিস্ফোরক বা ক্ষতিকর দ্রব্য বহন করা যাবে না, ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোনো বিকট শব্দ করা যাবে না। কোনো ধরণের মাতলামি করা যাবে না। নারীর প্রতি কোনো ধলণের অশোভন আচরণ করা যাবে না। শোভাযাত্রায় সকলকে সু-শৃঙ্খল ও সারিবদ্ধভাবে চলতে হবে। যত্রতত্র হকার বা দোকান বসানো যাবে না। গ্যাস সিলিন্ডারসহ বেলুন বিক্রেতা এবং ফ্ল্যাক্স নিয়ে চা বিক্রেতা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবে না।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের দিন শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের সময় গান-বাজনা এবং মাইক বন্ধ রাখতে হবে। সন্দেহজনক কোনো কিছু দেখলেই আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল। প্রতিটি অনুষ্ঠানের আয়োজকদের নিজস্ব একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করতে হবে এবং তাদের যেন সহজে চেনা যায় সেজন্য ‘স্বেচ্ছাসেবক’ লেখা ক্যাপ বা বাহুবন্ধীর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশরপাশি তাদের নাম ও মুঠোফোন নাম্বারের একটি তালিকা সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
ইকবাল বাহার বলেন, ‘শিরীষতলা ও ডিসি হিলে মাইকিং এর ব্যবস্থাসহ পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপিত হবে। যেকোনো প্রয়োজনে কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
শেষে পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে নগরবাসীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতা কামনা করেন।
