ভারতের নিজের স্বার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতার বিরুদ্ধে যেকোন হামলার জবাব দেয়ার ‘সকল আইনগত ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃত অধিকার’ আছে । পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর চালানো ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের’ পর সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের ঘাঁটি হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। বুধবার রাতে আজাদ কাশ্মিরে ওই ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালায় বলে ভারতের সেনাবাহিনীর দাবি। এতে পাকিস্তানের দু’জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। কিন্তু এটা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না বলে ভারতের দাবি জোর দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইকবাল সোবহান চৌধুরী সব পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কাশ্মির ইস্যুতে তিনি বলেছেন, এটা একটি ‘দ্বিপক্ষীয় বিরোধ’। অন্যপক্ষ থেকে এখানে নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে (দেয়ার হ্যাস বিন এ ভায়োলেশন ফ্রম দ্য আদার সাইড)। এটা (কাশ্মির ইস্যু) দীর্ঘদিনের, অব্যাহত একটি বিরোধ। সব সময়ই বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, কোনো একটি স্বাধীন দেশের স্বার্বভৌমত্ব ও আইনগত অধিকারের ওপর আগ্রাসন বা আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ সব সময় মনে করে যে, যেকোনো দেশকে অবশ্যই তৃতীয় একটি দেশের স্বার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর, তিনি বলেছেন, ভারত বিরোধিতায় কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের ঘাঁটি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিকে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ভারতের বিরুদ্ধে তাদেরকে কোনো হামলা পরিকল্পনা বা সংগঠিত করতে দেয়া হবে না। এমন যেকোন কর্মকা-ে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শনের প্রতি জোরালো প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরও বলেছেন, আমি মনে করি যেকোনো পক্ষ থেকে, হোক সেটা কোনো প্রতিবেশী দেশ, যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও লড়াই করার সকল অধিকার ভারত সরকার ও জনগণের আছে। তবে তিনি শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশীর রীতির জন্য সব পক্ষকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সব সময়ই বাংলাদেশ মনে করে, সব পক্ষকেই বিরত থাকা উচিত। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি সার্কভুক্ত দেশগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা ও একে অন্যের স্বার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানো উচিত।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||