ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাত করাতে স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই, বলে রায় দিয়েছে । একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি তার গর্ভস্থ ভ্রূণকে জন্ম দিতে না চান, তাহলে অন্য কারোর সে বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনও অধিকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা এক নারী ১৯৯৪ সালে বিয়ে করেন। পরের বছর তাদের একটি পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এরপরই সম্পর্কে অবনতির জেরে ১৯৯৯ সাল থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন তারা। বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন চণ্ডীগড়ের লোক আদালত তাদের আবার কিছুদিন একসঙ্গে থেকে মিমাংসা করে নিতে বলে।
২০০২ সালের নভেম্বর থেকে একসঙ্গে থাকার সময় ওই নারী আবার গর্ভবতী হয়ে পড়েন। কিন্তু সম্পর্কে কোনও উন্নতি না হওয়ায় ফের আলাদা থাকা শুরু করেন তারা। এই অবস্থায় গর্ভপাত করাতে চান তিনি। কিন্তু তাতে অসম্মতি জানান তার স্বামী। তার অনুমতি ছড়া গর্ভপাত করানোর জন্য যে মানসিক যন্ত্রণা তিনি পেয়েছেন তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ৩০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করেন ওই ব্যক্তি। তার এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন যে, ‘এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীও নিজের গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারেন।’
