একমাত্র বেঁচে আছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া ভারতের প্রতিরক্ষাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে থাকাদের মধ্যে। অন্যরা সবাই ঘটনাস্থলে নিহত হলেও বরুণ এখন বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এই বরুণ তার স্কুল জীবনে এক অধ্যক্ষকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যা রীতিমতো এখন ভাইরাল হয়ে পড়েছে। সেই চিঠিতে বরুণ তার অধ্যক্ষকে লিখেছিলেন, ‘মধ্যমমানের হওয়া দোষের কিছু নয়। নিজের চাওয়াটা বুঝতে হবে, নিজের কাজটা সর্বোচ্চ দিয়ে করতে হবে, কখনো আশাহত হওয়া যাবে না।’

স্কুল জীবনে নিজেকে মধ্যমমানের শিক্ষার্থী মনে করতেন ক্যাপ্টেন বরুণ। তবে পেশাগত জীবনে নিজেকে আবিষ্কার করেন তিনি। তেজাস নামে একটি যুদ্ধবিমান নিয়ে উড়ে জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সেবার দক্ষতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিলেন বরুণ। এজন্য তাকে দেওয়া হয়েছে ‘সৌরচক্র’ পুরস্কার।

হরিয়ানার চান্দিমান্দির ক্যান্টনমেন্টের আর্মি পাবলিক স্কুলে পড়তেন বরুণ। সেই স্কুলের অধ্যক্ষ বরাবর গত সেপ্টেম্বরে একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। ওই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি একজন মাঝারি মানের শিক্ষার্থী। দ্বাদশ শ্রেণিতে আমি কোনোরকমে প্রথম বিভাগ পেয়েছিলাম। এছাড়া খেলাধুলা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমেও আমি মধ্যম মানের ছিলাম। কিন্তু আমার আগ্রহ ও একাগ্রতা ছিল উড়োজাহাজ ও অ্যাভিয়েশন নিয়ে।’

ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতে কাটানো সেই মুহূর্তগুলো নিয়ে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছিলেন বরুণ সিং। তিনি লিখেছেন, শুরুতে তার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট হওয়ার পর তিনি অনুধাবন করতে পারেন, তিনি ভালো করতে পারবেন, যদি তিনি মনোনিবেশ করতে পারেন। বরুণ লিখেছেন, এরপর তার জীবন বদলে যায়। এরপর প্রতিটি কাজ তিনি তার সর্বোচ্চটা দিয়ে করেছেন। আর এই পদক্ষেপের সর্বোচ্চ মূল্যটাও পেয়েছেন তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031