পুলিশের বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ চলাকালে পুলিশী হয়রানী থেকে বাঁচতে ফিটনেসবিহীন, ডকুমেন্ট ছাড়া গাড়ী গুলো চলাচল করছে না ফলে পরিবহণ সংকট দেখা দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে । নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ চেক পোষ্ট বসিয়ে ফিটনেস বিহীন গাড়ীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে অধিকাংশ মালিক এ ধরা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের গাড়ী গুলো বের করছে না। তাই নগরীর মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে প্রচুর শিক্ষার্থীসহ যাত্রী সাধারণের গাড়ীর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। অপেক্ষা করেও গাড়ী না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। স্কুলের বাচ্চা নিয়ে অনেককে দুরদূরান্ত হেঁেট গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
এ দিকে নগরীর নিউ মার্কেট, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার ও টাইগার পাস এলাকায় চেকপোষ্ট বসানোর ফলে এ অবস্থা দেখা যায়। কিছু গণপরিবহন এ সুবাধে গলাকাটা ভাড়া আদায়ও করেছে। সড়কে পরিবহণ কম হওয়াতে কর্মস্থল থেকে বিকেলে অনেকে পায়ে হেটে বাসা বাড়ীতে যায়।
টাইগারপাস মোড়ে কথা হয় যাত্রী সুফিয়া বেগমের সাথে। তিনি জানান, বাচ্চা নিয়ে প্রায় ১ঘন্টা দাঁড়িয়েও গাড়ী পায়নি। ফলে হেঁটেই আগ্রাবাদে যাচ্ছি। প্রচন্ড গরমে হেঁটে যেতে কষ্ট হচ্ছে তারপরও করার কিছুই নেই। কথা হয় ডা: খাস্তগীর স্কুলের শিক্ষার্থী অমিতা সেনের সাথে তিনি জানান, বিকেলে প্রাইভেট শেষ করে জামালখান মোড়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও গাড়ী পাইনি।
ট্রাফিক বিভাগ থেকে জানান, আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। গাড়ির মালিক গাড়ী বের না করলে আমাদের করার কিছুই নেই। এক সার্জেন্ট জানান, চেকপোষ্টে চেক করতে গিয়ে প্রতিটি গাড়ীরই কোন কোন সমস্যা পাওয়া যাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই অথবা রোড পারমিট নেই, অথবা ফিটনেস নেই ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা। তারপরও মেজর সমস্যা ছাড়া আমরা গাড়ী র মামলা দিচ্ছ না। তবে এ সব সমস্যা সমাধান করাও দরকার।

পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু বলেন, নিরাপদ সড়কের জন্য যা যা করা দরকার সবই করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবো।
