পরিবহন মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের অভিযানের বিষয়ে বেশ আপত্তি দেখা গেছে । বেড়িবাঁধ রুটে ইজিবাইক ও মিনিবাস চলে মো. বাচ্চু মিয়া’র। অভিযানের কারণে চলছে না তার একটি গাড়িও। , “এই ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চালাইলে ফিটনেস থাকে ক্যামনে? গাড়ির দাম উঠাইতে উঠাইতে গাড়ির অবস্থা শেষ। আমগো কি করার আছে? আমার সবগুলো গাড়ির কাগজ আছে। কিন্তু ড্রাইভারের লাইসেন্স নাই। যা গো লাইসেন্স আছে, ওইসব ড্রাইভার সারাদিন ধূলা খাইয়া এই রাস্তায় গাড়ি চালাইবো না।”
টিআই মুসফিকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সকাল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহনকে জারিমানা করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথেই বেড়িবাঁধ হঠাৎ করেই কমে যায় গণপরিবহণ চলাচল।

অভিযানের বিষয়ে ট্রাফিক কর্মকর্তা কামরুল জানান, ‘ডিসি স্যারের নির্দেশে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলোকে সনাক্ত করে জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি। অনটেস্ট নামে চলছে এমন গাড়িসহ সকল প্রকার অবৈধ গাড়ি সনাক্ত করা হচ্ছে। অভিযান নিয়মিত হবে কি না, তা ডিসি স্যারের নির্দেশের উপর নির্ভর করবে।”
জরিমানা নয় নিজেদের পকেট ভরছে ট্রাফিকপুলিশ। অভিযোগ জরিমানা গোনা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের। মিনিবাস চালক মো. সাদ্দাম ঢাকাটাইমসকে জানান, “গাড়ির একটা হেড লাইট ভাঙ্গা থাকলে র্যাকার লাগাইয়া দেয়। ধইরাই ১২০০ টাকা র্যাকার বিল। এগুলো জরিমানা না, নিজেগো পকেট ভরার রাস্তা। ট্যাকা দরকার তাই এহানে দ্বাড়াইয়া কাহিনি শুরু করছে।”

এদিকে অভিযানের কারণে বেশ বিপাকে সাধারণ যাত্রীরা। সাধারণ দিনের তুলনায় আজ প্রায় ৯০ শতাংশ গাড়িই রাস্তায় নেই। পরিবহন সংকটে সাধারণ মানুষকে হেটে চলতে হচ্ছে। ধূলে মাড়িয়ে হেঁটে চলতে হচ্ছে। তবুও খুশি মো. জহির আহমেদ। মার্কেটিং এ কাজ করা জহির ঢাকাটাইমসকে বলেন, “প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। গাড়িগুলা দেখলেই ভয় লাগে, সব জোড়াতালি দেওয়া গাড়ি। গিয়ার কাজ করে না, ব্রেক ধরে না। একসিডেন্ট হইলে ক্ষতি তো আমাদের হয়। জরিমানা না করে গাড়িগুলো একেবারে বাদ দিলেই ভাল হয়। এক সপ্তাহ দরকার হলে কষ্ট করবো। রিস্ক নিতে চাই না।”
অবৈধ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানের কথা বলা হলেও পার পেয়ে যাচ্ছে ইজিবাইক। সকালের দিকে ইজিবাইক চালকরা যাত্রী পরিবহন স্থগিত রাখলেও এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে অবৈধ ইজিবাইক। অন্যদিকে বন্ধ রয়েছে বেড়িবাঁধের নিয়মিত পিকাপ, মিনিবাস (ভোরের আলো), বাস (যানযাবিল, ব্রাদার্স পরিবহন)।

