পদ্মা মেঘনা যমুনা স্থাপন করবে ৯টি চট্টগ্রামে আগ্রহ বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের থাকবে আন্তর্জাতিকমানের রেস্টুরেন্ট বিশ্রামাগার ও কিডস জোন ।।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) তিন অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। এসব ফিলিং স্টেশনে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট, শৌচাগার, বিশ্রামাগার, কিডস জোনসহ নামাজ পড়ার জন্য এবাদতখানাও মুজিব বর্ষে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী) মডেল ফিলিং স্টেশন স্থাপন করছে । প্রত্যেক কোম্পানি তিনটি করে ফিলিং স্টেশন বসানোর প্রাথমিক প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছে। বিপিসি ছাড়াও চট্টগ্রামে বেসরকারি কয়েকজন বিনিয়োগকারী মডেল ফিলিং স্টেশন বসানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বিপিসির পরিচালক (বিপণন) সৈয়দ মেহদী হাসান দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মুজিব বর্ষের সুফল প্রসারিত করার লক্ষ্যে মডেল ফিলিং স্টেশন বসানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিন বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে বেসরকারিভাবে ২ হাজার ২৬০টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। কোনটিই সরকারি নয়। এবার বিপিসির মাধ্যমে তিন বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মডেল ফিলিং স্টেশন বসাবে। যাতে আন্তর্জাতিক মানের সেবা থাকবে। থাকবে আধুনিক রেস্টুরেন্ট, আন্তর্জাতিক মানের শৌচাগার, চালকদের জন্য বিশ্রামাগার।’
জানা যায়, বাংলাদেশে ২২৬০টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে ৩৬৮টি, ঢাকায় ৫৫৮টি, সিলেটে ১৪৪টি, ময়মনসিংহ ১২০টি, বরিশাল ৬৫টি, খুলনাতে ৩৩০টি, রাজশাহীতে ৩২৭টি, রংপুরে ৩৪৮টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। এরমধ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ৭০১টি, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৮২৪টি এবং যমুনা অয়েল কোম্পানির ৭৩৫টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিপিসি, বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ন্যূনতম দূরত্ব বিবেচনা না করেই ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। ফলে পুরোনো ফিলিং স্টেশনগুলোর বিনিয়োগ হুমকিতে পড়ছে। এব্যাপারে বিপিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বন্টন ও বিপণন) মোরশেদ হোসাইন আজাদ বলেন, ‘স্থানভেদে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে জমির অত্যধিক মূল্য। তাই বিপিসির অধীনে মডেল ফিলিং স্টেশনগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে দুটি করে ছয়টি মডেল ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন রয়েছে। তবে বিপণন কোম্পানিগুলো তিনটি করে নির্মাণ করার জন্য নতুন প্রস্তাবনা দিয়েছে। একেকটি মডেল ফিলিং স্টেশন করতে জমিবাদে ১০-১৫ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।’
যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আনচারী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মডেল ফিলিং স্টেশন করতে আড়াই একর জমির প্রয়োজন। এতে শুধুমাত্র জমি সংগ্রহ করতেই অনেক টাকা বিনিয়োগ হয়। আমরা পূর্বাচলে ফিলিং স্টেশন করছি। সেখানে অপেক্ষাকৃত অনেক কমমূল্যে জমির সংস্থান করে দেবে সরকার।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকার মিরপুরে যমুনা অয়েলের নিজস্ব জায়গায়ও মডেল ফিলিং স্টেশন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রামে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারীও মডেল ফিলিং স্টেশন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’