এখনো অনেক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারেন না দেশে । তাদের ইলিশের স্বাদ দিতে চান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এজন্য আগামী পাঁচ বছর ইলিশ রপ্তানি যৌক্তিক হবে না বলে মনে করেন মন্ত্রী। সবার জন্য ইলিশের ব্যবস্থা করে এরপর রপ্তানি করতে চান বলে জানান তিনি।

বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটানা দায়িত্ব পালনের যুগপূর্তি উপলক্ষে ব্রিফিংকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিভিন্ন সফলতার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী।

গত ১২ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২.২৯ মিলিয়ন মে. টন সেটা ২০১৯-২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ মিলিয়ন মে.টন। ১২ বছর পূর্বে মাংসের উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মে.টন, ২০১৯-২০ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ মে.টন, ডিমের উৎপাদন ছিল ৪.৭ বিলিয়ন বর্তমানে সেটা ১৭.৩৬ বিলিয়ন। মৎস্য উৎপাদন ২০১০ সালে ছিল ৩০.৬২ লাখ মে.টন বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লাখ মে.টন।

মন্ত্রী জানান, ২০১০ এ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লাখ মেট্রিক টন এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম স্থানে আছি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশীয় ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪টি প্রজাতির মাছ বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য আমরা জিন ব্যাংক করেছি। এটি অভাবনীয় সাফল্য। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে একুশে পদক অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনার আমলের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাথাপিছু গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৫০ বছরের কম সময়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, জিডিপির উন্নয়ন, শিল্প রপ্তানি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ অনেক অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এছাড়া পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চলছে। আশা করি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একুশতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930