ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক এউইন মরগান বাংলাদেশ সফরে আসা, না আসা নিয়ে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেননি । তবে এই সফরে সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যে কয়জন ইংলিশ খেলোয়াড় দোটানায় রয়েছেন তাদের মধ্যে একজন তিনি। ইংল্যান্ড দলের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস বাংলাদেশে পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর। এই সফরে না এলে দল থেকে জায়গা হারানোর ‘হুমকি’ও দিয়েছেন তিনি। আগামীকালের (শনিবার) মধ্যে খেলোয়াড় সিদ্ধান্ত দেয়ার ব্যাপারে দিনক্ষণ ঠিক করে দিয়েছেন স্ট্রাউস। ঠিক তার আগের দিন আজ মরগ্যান সাংবাদিকদের সামনে বাংলাদেশ সফর নিয়ে কথা বললেন। সেখানে সফরে আসা, না আসা নিয়ে পরিষ্কারভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশ সফলকে ‘না’ করে দিচ্ছেন বলেই মরগানের কথায় বুঝা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে উপহমাদেশে নিরাপত্তা নিয়ে তার শঙ্কা। উপমহাদেশের মাটিতে অতীতে দুইবার ‘ভয়ঙ্কর’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া দু’টি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন তিনি। অতীতের এই দুই অভিজ্ঞতার কারণেই তিনি এবার বাংলাদেশ সফরে আসতে চাইছেন না। ২০১০ সালে ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জাস ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে আর ২০১৩ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে গাজি ট্যাংকের হয়ে খেলার সময়ে দু’টি অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন তিনি। বলেন, ‘২০১০ আইপিএলে আমরা একটি ম্যাচ ব্যাঙ্গালোরে খেলতে গিয়েছিলান। মাঠের বাইরে সেদিন বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বিমানবন্দরে রওনা হই।’ ব্যাঙ্গালুরুর ওই বোমা হামলায় ১৫ জন আহত হয়। অবশ্য ম্যাচটি ৪৫ মিনিট পরে শুরু হয়। আর সেই আসরে ব্যাঙ্গালুরুর বাকি ম্যাচ সরিয়ে নেয়া হয়। মরগান বাংলাদেশের একটি ঘটনা তুলে ধরেছেন। ২০১৩ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে তিনি গাজি ট্যাংকের হয়ে খেলতে আসেন। তখন ঢাকায় নির্বাচন পূর্ব রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। বিষয়টি উল্লেখ করে মরগান বলেন, ‘আরেকটি ঘটনা বাংলাদেশে। আমি দেশটির এক নির্বাচনের আগে ঘরোয়া লীগ খেলতে গিয়েছিলাম। তখন সেখানকার অবস্থা ছিল ভয়াবহ রকমের খারাপ।’ ঘটনা দু’টো উল্লেখ করে মরগান বলেন, ‘আমার মনে হয়, ক্রিকেটে মনযোগ দেয়ার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে স্বস্তিতে থাকতে হবে। তবে আমার ক্ষেত্রে আগে এমন অস্বস্তির ঘটনা দুইবার হয়েছে। দু’টোই নিরাপত্তা বিষয়ক। আগের দুইবার ওই ঘটনার পর নিজেকে বলেছিলাম, অমন পরিস্থিতিতে আর নিজেকে ঠেলে দিবো না।’ মরগানের এখানকার শেষ বাক্যে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশ সফরকে ‘না’ করতে যাচ্ছেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031