চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রায় দশদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সিঙ্গাপুরের গ্ল্যানিগ্লেস হাসপাতাল থেকে দেশে ফিরেছেন । রোববার রাত ১১টা-২৫ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে ঢাকা শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন স্বজনরা। সেখান থেকে সরাসরি তাকে আবারো ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে থাকা তারই বড় ছেলে এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সমপাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গতকাল সকালে মুঠোফোনে এসব তথ্য জানান। নওফেল বলেন, চিকিৎসার পর বাবা অনেকটা সুস্থ। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো  মাসখানেক সময় লাগতে পারে।

 এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরে গ্ল্যানিগ্লেস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরার্মশ ও নির্দেশনা অনুযায়ী বাবাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাবার অবস্থা স্থিতিশীল হলেও রুটিনমাফিক ডায়ালাইসিস চলবে। আর হাত-পা মুভমেন্টের জন্য ফিজিওথেরাপি দিতে হবে। আর এজন্যই মূলত চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবাকে আবারও স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে গত ১৬ই নভেম্বর সিঙ্গাপুরের গ্ল্যানিগ্লেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে।
এর আগে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তির পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে কিডনি ডায়ালাইসিস প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। এ সময় বাবা পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলেন। তরল খাবারও খান। পরে স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা হার্ট ও কিডনির অপারেশনের জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এর আগে গত ১১ই নভেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের ষোলশহরস্থ চশমা হিলের নিজ বাসভবনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ওইদিন রাতেই চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এ সময় হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় মহিউদ্দিন চৌধুরীকে।
হাসপাতালের চিকিৎসক জহির উদ্দিন চৌধুরী এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর দু’টি কিডনিতেই সমস্যা। পা দু’টো দুর্বল। শরীর উপরের দিকে ভারি এবং নিচের দিকে হালকা হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন তিনি। অনেকবার তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। তবুও অনেকটা মনের জোরেই চলছিলেন এ নেতা।
উন্নত চিকিৎসার জন্য এ সময় এ নেতাকে সিঙ্গাপুর অথবা ভারতের চেন্নাইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক জহির উদ্দিন চৌধুরী। আর ১২ই নভেম্বর বিকালে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে গিয়ে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চার দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী ওসমান গণি বলেন, চট্টগ্রামের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মহিউদ্দিন চেনধুরী দেশে ফিরলেও এ মুহূর্তে চট্টগ্রাম আসছেন না। আপাতত মাসখানেক তাকে ঢাকায় পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হবে। স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে পরবর্তীতে ঢাকায় ছেলের বাসায় থাকবেন তিনি।
Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031