ফাঁসি অবশেষে কার্যকর হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের। এর আগে কেরানীগঞ্জ কারা মসজিদের ইমাম আব্দুল মাজেদকে তওবা পড়ান। এসময় অঝরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
ফাঁসি কার্যকরের সময় কারাগারের ভেতরে থাকা একাধিক কর্মকর্তা ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। রাতেই মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ইতিমধ্যে কারাগারে উপস্থিত রয়েছেন তার পাঁচ স্বজন।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা ফাঁসির কার্যক্রম পরিদর্শন করতে রাত সাড়ে দশটায় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, ঢাকার সিভিল সার্জন আবু হোসেন মো. মাইনুল আহসান।
আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাত দশটার দিকে কারাগারে যান সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি। জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০ জন জল্লাদের একটি দল ফাঁসি কার্যকর করতে উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
তওবার সময় ভেঙে পড়লেও ফাঁসি কার্যকরের সময় মাজেদ শান্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা। এছাড়া জেলখানায় মাজেদকে মানসিকভাবে অনেক শক্ত দেখা গেছে বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
বঙ্গবন্ধুর এই চুপ খুনি থাকতে পছন্দ করতেন। অনেকটা পাষাণ প্রকৃতির মানুষের মতো তার আচরণ ছিল বলে জানায় কারা সূত্র। শনিবার বিকালে কনডেম সেলের দায়িত্বরত কারারক্ষীদেরকে মাজেদ তার জন্য দোয়া করতে বলেন।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গবন্ধুর খুনির লাশ ভোলায় নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই পারিবারিক করবস্থানে তাকে দাফনের কথা। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছে ভোলায় বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দাফন করতে দেয়া হবে না।
