র‌্যাব ঢাকার গুলশানের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে এক্সট্যাসিসহ দেশে অপ্রচলিত সাত পদের মাদক উদ্ধার করেছে । গত সোমবার রাতে ওই অভিযানে ওনাইসি সাঈদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব বলেছে, বিদেশে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণকারী এ ব্যক্তি মাদক বিজ্ঞানী হতে চেয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাঈদের (৩৮) গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে এক্সট্যাসি, কুশ, হেম্প, মলি, এডারল, ফেন্টানিলসহ বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ৩ কোটি টাকা সমমূল্যের দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। খবর বিডিনিউজের।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে দেশে অপ্রচলিত মাদক এক্সট্যাসির একটি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ভিত্তিতে গুলশানে সাঈদের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের মধ্যে ১০১ গ্রাম কুশ, ৬ গ্রাম হেম্প, শূন্য দশমিক ৫ গ্রাম মলি, ১ গ্রাম ফেন্টানল, ১৮ গ্রাম কোকেন, ১২৩টি এক্সট্যাসি, ২৮টি এডারল ট্যাবলেট রয়েছে। এর মধ্যে কুশ ও হেম্প দুটোই গাঁজার দুটো ধরন। আবার এক্সট্যাসি ও মলি মেথামফিটামিন মাদকের দুটি ধরন।

মঈন বলেন, সাঈদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে মোহাম্মদপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে তাপনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ‘গ্রো-টেন্ট’র মাধ্যমে বিদেশি জাতের কুশ তৈরির সেটআপ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওনাইসি সাঈদ তার মাদক কারবারের বিষয়েও তথ্য দিয়েছেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাঈদ দেশে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও কলেজ থেকে পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিবিএ ও এমবিএ করেন। পড়াশোনা শেষে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে তিনি বাবার টেক্সটাইল ব্যবসা দেখভাল শুরু করেন।

গত চার বছর ধরে কানাডায় অবস্থানরত ফয়সাল নামে এক বাংলাদেশির মাধ্যমে সাঈদ মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, বাংলাদেশে নতুন মাদক এক্সট্যাসির কারবারের অন্যতম হোতা ওনাইসি সাঈদ। দেশে বেশ কয়েকজন তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930