শেষ পর্যন্ত গতকাল বুধবার সকালে সত্যি মারা যায় নবজাতকটি। মৃত ঘোষণা করার প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামে অবশেষে মারা গেল সেই শিশুটি। যাকে মৃত ভেবে প্রথমে ডাক্তাররা
বাড়ি নিয়ে দাফন করার জন্য বলেছিলেন। দিয়েছিলেন ডেথ সার্টিফিকেটও।
কিন্তু পরবর্তীতে শিশুটির মা আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে যান।খবর পাওয়ার পরপরই হাসপাতাল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, জীবিত থাকার পরও মৃত ঘোষণা করা না হলে নবজাতকটিকে হয়তো বাঁচানো যেতো। এই ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে গঠন করা হয়েছে একটি তদন্ত কমিটি।
আগের দিন মুমূর্ষু অবস্থায় বেসরকারি সিএসসিআর ক্লিনিক থেকে নিয়ে আসার পর উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য শেষ পর্যায়ে তাকে ভর্তি করা হয় ম্যাক্স হাসপাতালে। সরজমিন গতকাল বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায় নবজাতকটির মৃত্যুর খবরে লোকজনের ভিড়।
পরে খবর পেয়ে দুপুর আড়াইটায় সেখানে নবজাতকটিকে দেখতে ছুটে আসেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী। এই সময় তিনি বলেন, আমার মনে হয় বাচ্চাটিকে বাঁচানো যেত। কারণ মৃত ঘোষণার পর তার যত্ন নেয়াতে কিছুটা গাফিলতি হয়েছে। তাছাড়া এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। অবহেলার কারণে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে এই ঘটনায় তদন্ত করা হচ্ছে। জীবিত অবস্থায় মৃত ঘোষণা করার ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যিনি সন্তান হারালেন তাকে কিভাবে সান্ত্বনা দেবো তা বুঝতে পারছি না।
এদিকে জন্ম নেয়া প্রথম সন্তানটি হারিয়ে অনেকটা শোকে কাতর ডা. রিদওয়ানা কাউসার ও ডা. নুরুল আজম দম্পতি।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
